অ্যামেরিকায় মারাত্মক অপরাধে দোষী সাব্যস্ত আট অভিবাসীকে অবশেষে সংঘাতপীড়িত আফ্রিকার দেশ দক্ষিণ সুদানে বিতাড়নের কথা জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা আইনি জটিলতার মধ্যে জিবুতির সামরিক ঘাঁটিতে রাখা হয়েছিল এসব অভিবাসীকে।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ট্রিসিয়া ম্যাকলাফলিন জানান, ইস্টার্ন স্ট্যান্ডার্ড টাইম শুক্রবার মধ্যরাতের কিছুক্ষণ আগে বিতাড়িত অভিবাসীদের বহনকারী ফ্লাইটটি দক্ষিণ সুদানে পৌঁছায়।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট বিতাড়িত অভিবাসীদের একটি ছবি প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, একটি বিমানের ভেতর শেকলে হাত ও পা বাঁধা অবস্থায় বসে আছেন অভিবাসীরা। তাদের পাহারা দিচ্ছেন অ্যামেরিকান সেনারা।
সিবিএস নিউজ জানায়, সশস্ত্র সংঘাত ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় নিমজ্জিত দক্ষিণ সুদানে অভিবাসীদের বিতাড়নকে অবৈধ অভিবাসনের ওপর ট্রাাম্প সরকারের বিস্তৃত কঠোর ব্যবস্থার নজিরবিহীন নতুন ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
দক্ষিণ সুদানে বিতাড়িত অভিবাসীদের কেউই আফ্রিকার দেশটির বাসিন্দা নন। তারা কিউবা, মেক্সিকো, লাওস, মিয়ানমার, সুদান ও ভিয়েতনাম থেকে অ্যামেরিকায় এসেছিলেন। এসব অভিবাসী হত্যা, নরহত্যা, যৌন হেনস্তা, শিশুর সঙ্গে লাম্পট্য এবং ডাকাতির মতো অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল।
এসব ব্যক্তির গন্তব্য নিয়ে চলা আইনি লড়াই থমকে দাঁড়ায় শুক্রবার। ওই দিন অভিবাসী সুরক্ষা কর্মীদের বিতাড়ন স্থগিতের আবেদন খারিজ করে দেন দুই ফেডারেল বিচারক।
এ বিচারকদ্বয় জানান, সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক রায় তাদের হাত বেঁধে দিয়েছে।