ঈদের দ্বিতীয় দিনেও গাজায় ইসরায়েলি গোলাবর্ষণে নিহত ২২

টিবিএন ডেস্ক

জুন ৭ ২০২৫, ১৩:১৫

ঈদুল আজহার সময় গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত। ছবি: এএফপি

ঈদুল আজহার সময় গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত। ছবি: এএফপি

  • 0

যেখানে ঈদের সকাল আনন্দ আর উৎসবের হওয়ার কথা, সেখানে গাজায় বইছে রক্তের ধারা। ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনেও ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন ফিলিস্তিনি। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস ও রাফাহ অঞ্চলে এসব হামলা হয় ভোররাতে। হতাহতদের মধ্যে রয়েছেন নারী ও শিশুরাও। ত্রাণ সহায়তা বন্ধ থাকায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।

ফিলিস্তিনের গাজায় পবিত্র ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিন শনিবার ভোরে ইসরায়েলি হামলা ও গুলিবর্ষণে কমপক্ষে ২২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস এবং রাফাহ গভর্নরেটে এই হামলা চালানো হয়। গাজা সিটি থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে শনিবার এএফপি জানিয়েছে, খান ইউনিসের পশ্চিমে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়কেন্দ্র লক্ষ্য করে ইসরায়েলি গোলাবর্ষণে একই পরিবারের চার সদস্যসহ ১২ জন নিহত এবং ৪০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।

তবে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলেছে, শনিবার ভোর থেকে এই পর্যন্ত (এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত স্থানীয় সময় সকাল ১০টার মধ্যে) ২২ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ফিলিস্তিনি সূত্রের ভিত্তিতে করা এএফপি’র এক পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৭ মে থেকে মানবিক সাহায্য নিতে গিয়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির মোট সংখ্যা ১১৫ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ৫৮০ জনেরও বেশি। এছাড়া ৯ জন এখনো নিখোঁজ।

এরআগে স্থানীয় হাসপাতালগুলোর সূত্রের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানায়, ঈদের দিন গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঈদের সকাল যেখানে হওয়ার কথা ছিল উৎসবের, সেখানে গাজায় বয়ে গেছে রক্তের ধারা। স্থানীয় সময় শুক্রবার খান ইউনিসসহ গাজার উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

এছাড়া, ঈদের দিনেও উপত্যকাটিতে বন্ধ ছিল ত্রাণ সহায়তা।

এএফপি জানিয়েছে, ইসরায়েলের ‘গণহত্যা অভিযান’ শুরু হওয়ার পর থেকে এটি গাজাবাসীর জন্য চতুর্থ ঈদ (ঈদুল ফিতর-সহ), যেখানে প্রায় ৫৪,৭০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজায় ‘দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি’ সৃষ্টি হয়েছে এবং উপত্যকাটি বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে।