চীনের বিনিয়োগে বাংলাদেশে বাণিজ্যের নতুন যুগের সূচনা

টিবিএন ডেস্ক

জুন ৪ ২০২৫, ১৭:০৯

বিনিয়োগ-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সুযোগ কাজে লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা। প্রতীকী ছবি

বিনিয়োগ-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সুযোগ কাজে লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা। প্রতীকী ছবি

  • 0

চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও-এর নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশ সফর ও চায়না-বাংলাদেশ বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্মেলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের নতুন এক যুগের সূচনা হলো। রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী নেতারা এই সফরকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই বিনিয়োগ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নতুন গতি এবং কর্মসংস্থানের বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও-এর নেতৃত্বে একটি বাণিজ্যিক প্রতিনিধি দল সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করে চীন-বাংলাদেশ বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছে। এই সফরকে রাজনৈতিক নেতা, সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী নেতারা ‘ঐতিহাসিক’ হিসেবে বর্ণনা করছেন এবং বাংলাদেশে নতুন বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের সম্ভাবনা ব্যাপকভাবে প্রসারিত হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, ‘চীন সবসময় বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু ছিলো এবং থাকবে। বর্তমান কূটনৈতিক সুসম্পর্ক ও সহযোগিতার আলোকে চীনের তহবিল কাজে লাগানোর এটি সঠিক সময়।’

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘চীনের বিনিয়োগ বাংলাদেশের উৎপাদন খাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং অর্থনীতিকে গতিশীল করবে।’

বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, বিশেষ করে বস্ত্র শিল্প ও অন্যান্য উৎপাদন খাতে চীনের বিনিয়োগ দেশের অর্থনৈতিক চাকা আরও শক্তিশালী করবে এবং ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সাহায্য করবে।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক সাইফুল্লাহ মনসুর বলেন, ‘একজন ব্যবসায়ী হিসেবে আমি মনে করি, চীনের প্রতিনিধি দলের এই সফর বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে একটি নতুন দিগন্তের সূচনা। এটি দেশের শিল্পায়ন ও রপ্তানি ক্ষেত্রে ব্যাপক ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’

এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের নতুন সুযোগ উন্মোচিত হবে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।