তেহরানের আকাশসীমায় ‘পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা’করার দাবি করেছে ইসরায়েল। ইরানের রাজধানী তেহরানের আকাশে সামরিক ড্রোন ও যুদ্ধবিমানের টহল চালানোর পর এ দাবি জানায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী-আইডিএফ।
টাইমস অব ইসরায়েলের এ খবরে বলা হয়, রবিবার রাতে ও সোমবার ভোরে এক প্রেস বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, ‘আমরা তেহরানের আকাশপথে অভিযান চালিয়ে কৌশলগত অবস্থানগুলোর ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছি। শত্রু পক্ষের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে অকার্যকর করে তোলা হয়েছে।’
তবে ইরানের পক্ষ থেকে এই দাবি অস্বীকার করা হয়েছে। ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, ‘তেহরানের আকাশসীমা সম্পূর্ণভাবে আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইসরায়েলি ড্রোন বা যুদ্ধবিমান প্রবেশের চেষ্টা করলেও সেগুলো প্রতিহত করা হয়েছে।’
এই পাল্টাপাল্টি অবস্থানের মধ্য দিয়ে ইরান-ইসরায়েল সংঘাত আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক মহল। তেহরানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং সাধারণ জনগণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া ও জাতিসংঘ—সব পক্ষই এ উত্তেজনা নিরসনে দুই দেশকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি কেবল কূটনৈতিক উত্তেজনা নয়, বরং সরাসরি সামরিক দখলদারির ইঙ্গিত দিচ্ছে। ইসরায়েল যদি সত্যিই তেহরানের আকাশসীমা নিয়ন্ত্রণে নিয়েও থাকে, তাহলে এটি হবে মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সামরিক বিপর্যয়ের সূচনা।
বর্তমানে তেহরানে আকাশে যুদ্ধবিমান ও ড্রোনের গতিবিধি বেড়ে গেছে এবং ইরান নিজস্ব প্রতিরক্ষা বাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতিতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। যুদ্ধের শঙ্কা যেন ক্রমেই বাস্তব হয়ে উঠছে।