জামায়াতে ইসলামীর নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পেয়েছেন। মঙ্গলবার আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ, প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে, সর্বসম্মতভাবে এই রায় ঘোষণা করেন।
আজহারুল ইসলামের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির এই রায়কে ‘ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার’ উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘সত্য বিজয়ী হয়েছে, মিথ্যা পরাভূত হয়েছে।’
২০১২ সালের ২২ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আজহারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে। এই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে আপিল করা হয়, যা ২০১৯ সালে আপিল বিভাগে বহাল থাকে। পরবর্তীতে ২০২০ সালে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হয়, যার ফলস্বরূপ আজকের খালাসের রায় প্রদান করা হয়।
আদালত নির্দেশ দিয়েছে, যদি আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে অন্য কোনো মামলা বা আইনি প্রক্রিয়া না থাকে, তবে তাকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হবে।
রায়ের পর জামায়াতে ইসলামীর নেতারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। দলটির নায়েবে আমীর ড. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘আল্লাহ কোরআনে বলেছেন সত্যের বিজয় হবে, মিথ্যা দূরীভূত হবে এবং মিথ্যার পতন অবশ্যম্ভাবী। আজকের সুপ্রিম কোর্টের রায়ের মাধ্যমে এই সত্যই প্রমাণ হয়েছে।’
এই রায় বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা ভবিষ্যতের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলাগুলিতে প্রভাব ফেলতে পারে।