ইন্টারনেট গতির বিশ্বরেকর্ড, নেটফ্লিক্সের সব ভিডিও নামবে ১ সেকেন্ডে

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ১২ ২০২৫, ১১:৩০ হালনাগাদ: সেপ্টেম্বর ১২ ২০২৫, ১১:৩৭

ইন্টারনেট গতির বিশ্বরেকর্ড ভাঙ্গল জাপান। ছবি: ইকোনমিক টাইমস

ইন্টারনেট গতির বিশ্বরেকর্ড ভাঙ্গল জাপান। ছবি: ইকোনমিক টাইমস

  • 0

এই গতি দিয়ে এক সেকেন্ডে এক লাখ সাতাশ হাজার পাঁচশত বছরের সমান গান ডাউনলোড করা যাবে।

প্রযুক্তি নিয়ে আমাদের কল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিয়েছে জাপান। জাপানের গবেষকদের হাত ধরে ইন্টারনেট গতির বিশ্বরেকর্ড ভাঙ্গল জাপান।

বিশ্বের দ্রুততম ইন্টারনেট গতি এখন এক পয়েন্ট শূন্য দুই পেটাবাইট প্রতি সেকেন্ড, যা জাপানের গবেষকেদের অন্যতম এক সাফল্য। এই গতিতে অজস্র গান, সিনেমা, গেম মুহূর্তের মধ্যে নামানো সম্ভব।

ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বৃহস্পতিবার বলা হয়েছে, গত জুন মাসে জাপানের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশনস টেকনোলজি (এনআইসিটি) এই রেকর্ড তৈরি করে। প্রতি সেকেন্ডে দশ লক্ষ বিশ হাজার গিগাবিট ডেটা স্থানান্তর করা হয়েছে, যা বিশ্বরেকর্ড।

এ সাফল্য অর্জনে এনআইসিটি কিন্তু ব্যতিক্রম কিছুই ব্যবহার করেনি। এনআইসিটি সাধারণ মাপের ফাইবার অপটিক তার ব্যবহার করেছে, যা সারা বিশ্বেই ব্যবহৃত হয়। তবে এর ভেতরে চারটি কোর এবং পঞ্চাশের বেশি আলাদা আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য ব্যবহার করা হয়েছে। আশ্চর্যজনকভাবে, তারা এই গতি ৫১ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্বে ধরে রাখতে পেরেছে, যা বাস্তবে ব্যবহারযোগ্য।

এই গতি সহজলভ্য হলে গ্লোবাল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ক্লাউড সিস্টেম, স্বয়ংক্রিয় গাড়ি, রিয়েল-টাইম অনুবাদের মতো ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক ডেটা স্থানান্তর সম্ভব হবে। মুহূর্তের মধ্যে স্টিমের সব গেম নামিয়ে ফেলা যাবে। কাউন্টার-স্ট্রাইক ২ থেকে বালদুর’স গেট ৩ পর্যন্ত সব গেম দশ সেকেন্ডেরও কম সময়ে নামানো সম্ভব হবে।

এই গতি দিয়ে একসঙ্গে এক কোটি ৮কে আল্ট্রা-এইচডি ভিডিও স্ট্রিমিং করা সম্ভব। টোকিও ও নিউইয়র্কের প্রতিটি মানুষকে বিনামূল্যে এইচডি মুভি দেখানো সম্ভব হবে। এছাড়া এক সেকেন্ডে এক লাখ সাতাশ হাজার পাঁচশত বছরের সমান গান ডাউনলোড করা যাবে এবং উইকিপিডিয়ার সব তথ্য এক সেকেন্ডে দশ হাজার বার ব্যাকআপ নেয়া যাবে।

তবে দুঃখজনকভাবে গ্রাহক পর্যায়ে এখনো টেরাবাইট গতির ইন্টারনেট আসেনি। তবে সরকার, ডেটা সেন্টার এবং টেলিকম সংস্থাগুলো এই গতিকে তাদের নেটওয়ার্কে আনার চেষ্টা করছে। জাপানের এই সাফল্য আগামী দিনে সিক্সজি নেটওয়ার্ক, জাতীয় ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক এবং নতুন সাবমেরিন কেবলের রূপরেখা তৈরি করবে।