ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে পর্ন তারকা জেফ্রি এপস্টিন–সংশ্লিষ্ট গোপন নথিতে নাম থাকার দাবি করে বিতর্কিত এক পোস্ট দিয়েছিলেন টেসলা ও স্পেসএক্সের মালিক ইলন মাস্ক। তবে মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সেটি মুছে ফেলেছেন তিনি। এ নিয়ে ওয়াশিংটন রাজনীতিতে নতুন করে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে।
নিজের এক্স হ্যান্ডলে মাস্ক বৃহস্পতিবার লেখেন, ‘এপস্টিনের গোপন নথিগুলোতে ট্রাম্পের নাম রয়েছে। এ কারণেই তা সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ করা হয়নি। ভবিষ্যতের জন্য মনে রাখুন, সত্যি একদিন না একদিন প্রকাশ পাবেই।’
মাস্কের এই পোস্টে ছিল এক ধরনের ইঙ্গিতপূর্ণ সুর, এমনকি কিছু অংশে স্পষ্ট হুমকির আভাসও দেখা গেছে।
যদিও শনিবার দুপুর নাগাদ তিনি পোস্টটি সরিয়ে ফেলেন। তবে মুছে দেওয়ার কারণ সম্পর্কে কোনো ব্যাখ্যা দেননি। মাস্কের এমন আচরণে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে—তিনি কি রাজনৈতিক চাপে সিদ্ধান্ত বদলেছেন, নাকি ট্রাম্পের সঙ্গে দূরত্ব কমাতেই এই পিছু হটা?
জেফ্রি এপস্টিনের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক নিয়ে বহুদিন ধরেই আলোচনা চলছে। ভার্জিনিয়া জিফরে নামের এক নারীর করা মামলায় প্রকাশিত নথিতে এপস্টিনের পরিচিতদের মধ্যে ট্রাম্প ছাড়াও বিল ক্লিন্টন, স্টিফেন হকিং, মাইকেল জ্যাকসনের মতো নাম উঠে আসে। অভিযোগ, এই ব্যক্তিরা কোনো না কোনোভাবে এপস্টিনের যৌন অপরাধে যুক্ত ছিলেন বা সুবিধা পেয়েছেন।
এমনকি অভিযোগ রয়েছে, এপস্টিনের ব্যক্তিগত বিমান ‘লোলিটা এক্সপ্রেস’-এ ট্রাম্প একাধিকবার ভ্রমণ করেছেন। চলতি বছরের শুরুতে এই সংক্রান্ত কিছু নথি জনসমক্ষে আসে। তবে মাস্কের দাবি ছিল, পুরো ফাইলটি প্রকাশ করা উচিত।
ট্রাম্প ও ইলন মাস্কের সম্পর্ক এতদিন পর্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেই ধরা হতো। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মাস্ক বলেন, ‘ট্রাম্পকে ইমপিচ করে তার জায়গায় ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সকে বসানো উচিত।’
জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি ইলনের ব্যাপারে হতাশ। এখন আর বুঝতে পারছি না, আমাদের সম্পর্ক আগের মতো থাকবে কি না।’
এমন মন্তব্যের পাল্টাপাল্টিতে দুই প্রভাবশালী ব্যক্তির সম্পর্ক ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা। মাস্কের পোস্ট এবং সেটি মুছে দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওয়াশিংটনে চলছে নানা জল্পনা—তিনি কি রাজনৈতিক কৌশল নিচ্ছেন, না কি নিজের অবস্থান থেকেই সরে যাচ্ছেন?