লোকঐতিহ্য ও জনপ্রিয়তায় ক্রিসমাসের সজ্জায় সারা বিশ্বে পয়েনসেটিয়ার জুড়ি মেলা ভার। অ্যামেরিকাজুড়ে ক্রিসমাসের ছুটিতে চাহিদা বাড়ে এই গাছের। এই বাড়তি চাহিদাপূরণে নিউ জার্সির লেনন পরিবার বহু বছর ধরেই চাষ করে আসছে পয়েনসেটিয়া।
গাছটির লাল অংশ কি ফুল নাকি পাতা? নামটা আসলে কি হবে? পয়েনসেটিয়া নাকি পয়েনসেটা? এসব ছোটখাট বিতর্ক যেন মানুষের আগ্রহ আরও বাড়িয়ে দেয় গাছটির বিষয়ে।
যে নামেই ডাকা হোক না কেনো, ক্রিসমাসের উৎসবে পয়েনসেটিয়ার জনপ্রিয়তা নিয়ে কারও কোন প্রশ্ন নেই। ডিসেম্বরে দেশজুড়ে চাহিদা বাড়ে রঙ্গিন পয়েনসেটিয়ার। গাছটি দেখলেই মনের ভেতর আসে ছুটির আমেজ।
অ্যামেরিকায় গত বছরে ৩৫ মিলিয়নেরও বেশি পয়েনসেটিয়া গাছ বিক্রি হয়েছে। যার মধ্যে লেননদের ফার্মেই উৎপাদিত হয়েছে ৪০ হাজারের বেশি।
৪৪ বছর ধরে ফার্মটিতে একসাথে কাজ করে আসছে গান্থার ও হেলিন দম্পতি। বর্তমানে তদের মেয়ে এমান্ডা ও তার স্বামী জর্ডানও এই ফার্মে কাজ শুরু করছে।
মাত্র ১১ বছর বয়সে হেলিনের বাবার ফার্মে কাজ নেয় গান্থার। গাছের প্রতি গান্থারের আগ্রহ দেখে তাকে হাতে কলমে কাজ শেখানো হয়। পরে গান্থার ও হেলিনের বিয়ের উপহার হিসেবে ফার্মের বর্তমান জায়গাটি কিনে দেয় হেলিনের বাবা।
গান্থারের মেয়ে এমান্ডার ছোটবেলা কেটেছে এই ফার্মেই। সম্প্রতি এমান্ডার সাথে জর্ডানের বিয়ের অনুষ্ঠানও হয়েছে ফার্মের গ্রিন হাউযেই।
গাছের যত্নে নিজের অপারগতার কথা হাসিমুখে স্বীকার করে এমান্ডা জানান, মায়ের সাথে কম্পিউটারে হিসাব রাখা ও অন্যান্য কাজটাই করেন তিনি।
সাউথ অ্যামেরিকা থেকে জুন মাসে আসে পয়েনসেটিয়ার কাটিং। গান্থার বলেন, মানুষের মতোই যত্নের প্রয়োজন হয় সেগুলোর।
পারিবারিক এই ফার্ম ভবিষ্যতে জর্ডানকে নিয়ে চালিয়ে যেতে পারবেন বলে আশা করেন এমান্ডা। এদিকে গান্থার জানান, শিগগিরই অবসরে যাচ্ছেন না তিনি।
গাছ হিসেবে পয়েনসেটিয়ার জনপ্রিয়তা এত বেশি যে, অ্যামেরিকায় প্রতিবছর ১২ ডিসেম্বর ‘ন্যাশনাল পয়েনসেটিয়া ডে’ পালিত হয়। বাংলাদেশেও গাছটি লালপাতা নামে বেশ জনপ্রিয়।