প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের কাছ থেকে ২০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে বৃহস্পতিবার আবেদন করেছেন কারামুক্ত ফিলিস্তিনপন্থি অধিকারকর্মী মাহমুদ খলিলের আইনজীবীরা।
তাদের ভাষ্য, খলিলকে ভুলভাবে কারারুদ্ধ করার পাশাপাশি বিদ্বেষপরায়ণভাবে বিচার করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে সামনের সারিতে নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে তাকে বিতাড়ন করতে চেয়েছিল সরকার। এরই অংশ হিসেবে তাকে ইহুদিবিদ্বেষী হিসেবে প্রচার করা হয়েছে।
সিবিএস নিউজ জানায়, ফেডারেল টর্ট ক্লেইমস অ্যাক্ট অনুযায়ী মামলা করার আগের ধাপে ক্ষতিপূরণের আবেদন করেছেন খলিলের আইনজীবীরা। এতে ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি, ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট-আইস ও স্টেইট ডিপার্টমেন্টের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির ৩০ বছর বয়সী গ্র্যাজুয়েট খলিলের নামে চলা বিতাড়নের মামলা ধীরগতিতে চলার মধ্যে তার আইনজীবীরা আবেদনটি করলেন।
খলিলের ভাষ্য,আবেদনের উদ্দেশ্য হলো তাকে ভয় দেখিয়ে যে নীরব করা যাবে না, সে বার্তা দেওয়া।
তিনি বলেন, ‘তারা নিজেদের ধরাছোঁয়ার বাইরে মনে করে বলে, তাদের ক্ষমতার অপব্যহার করে। তারা কিছুমাত্রায় জবাবদিহিতা অনুভব না করলে এমনটা বাধাহীনভাবে চলতে থাকবে।’
আবেদনে ট্রাম্প ও অন্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে খলিল ও তার পরিবারকে ভীতসন্ত্রস্ত করার প্রচার চালানোর অভিযোগ করা হয়।