চায়না-অ্যামেরিকা শুল্ক যুদ্ধের শঙ্কায় এ বছরের ক্রিসমাস উৎসব

টিবিএন ডেস্ক

এপ্রিল ১২ ২০২৫, ১৫:৪০

ক্রিসমাস উৎসব। ফাইল ছবি

ক্রিসমাস উৎসব। ফাইল ছবি

  • 0

চায়নার সাথে শুল্ক যুদ্ধের কারণে চলতি বছর দেশের বাজারে ক্রিসমাস ট্রি ও ক্রিসমাসের অন্যান্য সাজ-সরঞ্জামের সংকট দেখা দিতে পারে। এর ফলে, এসব পণ্যের জন্য সাধারণ ভোক্তাদের দ্বিগুণেরও বেশি অর্থ খরচ করতে হতে পারে।

প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প চায়নার ওপর ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার ফলেই এমনটা শংকা করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, ক্রিসমাসের সাজ সরঞ্জাম সংশ্লিষ্ট অন্তত ৮৭ শতাংশ পণ্য অ্যামেরিকায় আসে চায়না থেকে। বাড়তি খরচ এড়াতে এরই মধ্যে, অনেক প্রতিষ্ঠান, চায়নায় দেয়া অর্ডার বাতিল করেছে। ফলে, এবারের ক্রিসমাসে দেশের উৎসবে কিছুটা ভাঁটা পড়তে পারে।

ক্রিসমাস আসতে এখনও ৮ মাসের বেশি সময় বাকি। তবে দেশের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর চাহিদা অনুযায়ী, কৃত্রিম ক্রিসমাস ট্রি তৈরিতে ব্যস্ত চায়নার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা। তবে, শুল্ক যুদ্ধের ফলে, অ্যামেরিকার অনেক প্রতিষ্ঠান, নির্ধারিত অর্ডার বাতিল করতে পারে বোলে আশংকা চায়নার ব্যবসায়ীদের। ক্রিসমাস ট্রি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান জিয়াসং ক্রাফটের মালিক লিউ জং সে কথাই বলছেন।

ডাবিং: অ্যামেরিকান প্রতিষ্ঠানের অর্ডারের ক্ষেত্রে আমাদের সাবধানে এগোতে হবে। সেখানে যে অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে, আমাদের আশংকা অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের অর্ডার বাতিল করতে পারে। ছুটির মৌসুমে বাড়তি খরচ ও জট এড়াতে, অ্যামেরিকার ব্যবসায়ীরা আগেভাগেই আমাদের কাছে অর্ডার দেন। তবে এই বছর, তারা দ্বিধাদ্বন্দে ভুগছে।

প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প চায়না থেকে আমদানী করা পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার কারণেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। জ্যাংব্যাগ ক্রিসমাস কোম্পানির এই বিক্রয়কর্মী জানান, তাদের প্রতিষ্ঠান এবার অ্যামেরিকা থেকে আসা কোন অর্ডার নিচ্ছে না।

ক্রিসমাসের সাজ সরঞ্জামের জন্য দেশের ব্যবসায়ীরা অনেকটাই চায়নার ওপর নির্ভরশীল। এই ধরণের পণ্যের প্রায় ৮৭ শতাংশই দেশের ব্যবসায়ীরা চায়না থেকে আমদানী করে, যার মূল্য প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার। পক্ষান্তরে, চায়নায় উৎপাদিত এসব পণ্যের অর্ধেকই অ্যামেরিকায় রপ্তানি হয়।

অ্যামেরিকান ক্রিসমাস ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর, জেইমি ওয়ার্নার, পুরো বিষয়টিকে ভয়ংকর আখ্যা দিয়েছেন। তার আশংকা, চাহিদা অনুযায়ী বাজারে ক্রিসমাস ট্রি’র ট্রি ও অন্যান্য আনুশাঙ্গিক পণ্যেরর যোগান নিশ্চিতো করা না গেলে, ভোক্তাদের গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি অর্থ খরচ করতে হবে।

আমেরিকা-চায়না এই শুল্কযুদ্ধের প্রভাব পড়েছে, সারা বিশ্বের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান এবং আকাশ পথে পণ্য পরিবহণের ওপর। গত বছর, আকাশ পথে, চায়না থেকে রেকর্ড পরিমাণ পণ্য রপ্তানি হলেও, এই বছর, তা আশংকাজনক হারে কমে যেতে পারে।