
মশা ও টিকের হাত থেকে রক্ষা পেতে মেনে চলুন এই ১০টি টিপস

টিবিএন ডেস্ক
জুন ১৬ ২০২৪, ১০:৩৭

প্রতীকী ছবি
- 0
মশা ও টিক জাতীয় পতঙ্গগুলো জীবানুবাহিত অসুখের সংক্রমণ ঘটাতে পারে। গ্রীষ্মকালে এই প্রবণতা আরও বৃদ্ধি পায়।
মশাবাহিত নানা রোগ বা টিকবাহিত লাইম ডিজিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা ফ্লুর মতো অস্থায়ী লক্ষণ যেমন পেশি ব্যথা, জ্বর ও মাথাব্যথার সম্মুখীন হতে পারেন। তাদের র্যাশও দেখা দিতে পারে।
যথাসময়ে চিকিৎসা করা না হলে রোগী দীর্ঘমেয়াদী লক্ষণগুলোর দিকে অগ্রসর হয়। এগুলো পরে আরও গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে। এতে চলমান স্নায়ুর ব্যথা, ফেসিয়াল প্যারালাইসিসসহ হার্টের অস্বাভাবিক কার্যকারিতা দেখা দিতে পারে।
গ্রীষ্মকালেই মূলত এই রগের প্রাদূর্ভাব ঘটে। গত কয়েক বছরে এর আশঙ্কা আরও বেড়েছে।
ওয়েন জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক এবং ক্লিনিকাল অধ্যাপক লিয়ানা ওয়েন টিক ও মশার কামড় থেকে রক্ষা পেতে বেশ কিছু মূল্যবান পরামর্শ দিয়েছেন।
জেনে নিন সেই পরামর্শগুলো।
১। আপনি যদি মশা বা টিক রয়েছে এমন অঞ্চলে থাকেন, সেই ক্ষেত্রে ফুল হাতা শার্ট এবং ফুলপ্যান্ট পরুন।
২। ডিইইটি উপাদানযুক্ত পোকামাকড় প্রতিরোধক ব্যবহার করুন। এছাড়া ইনসেকটিসাইড পারমেথ্রিন ব্যবহার করতে পারেন।
৩। সবসময় খেয়াল করুন আপনাকে টিক বা মশা কামড় দিচ্ছে কিনা। আপনার বাড়িতে ছোট শিশু বা পোষা প্রাণী থাকলে তাদেরকেও সবসময় পর্যবেক্ষণে রাখুন।
৪। যদি কোনও মশা বা টিক দেখেন, সেটিকে সরিয়ে নিন এবং শনাক্ত করার জন্য একটি ছোট জারে রাখুন। এরপর আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
আরও পরুন: ইউরোপে বাড়ছে ডেঙ্গুবাহী এডিস মশার বিস্তার
৫। প্রাথমিক অ্যান্টিবায়োটিক থেরাপি আপনাকে শরীরে লাইম ডিজিস রোধ করতে পারে। অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসা দীর্ঘস্থায়ী লক্ষণগুলোর অগ্রগতি হ্রাস করতে পারে।
৬। যদি চিকিৎসা নেয়ার পরেও আপনার লক্ষণগুলোর বিকাশ হয় তবে অবিলম্বে পরীক্ষা করুন।
৭। আপনি কোথাও ভ্রমণে গেলে সেটি আপনার প্রাথমিক চিকিৎসককে জানান অথবা ট্র্যাভেল মেডিক্যাল ক্লিনিকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করে নিন। আপনি কোথায় যাচ্ছেন, আপনার পরিকল্পনা কী কী এবং আপনার ব্যক্তিগত চিকিৎসার ইতিহাসের উপর নির্ভর করে আপনাকে অতিরিক্ত ভ্যাকসিন বা প্রফিল্যাক্টিক ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হতে পারে।
৮। ভ্রমণে গেলে সিডিসির গাইডের পরামর্শ অনুসরণ করুন। এতে প্রতিটি দেশের গন্তব্য সম্পর্কে সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
৯। প্রত্যেকেরই দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ মনে রাখা উচিত। প্রথমটি হলো কামড় এড়ানো। সম্ভব হলে কাপড় দিয়ে হাত ও পা ঢেকে এটি করতে পারেন।
১০। দ্বিতীয় পদক্ষেপটি হলো উৎস নিয়ন্ত্রণ করা। বাড়িতে টিক বা মশার আনাগোনা কমাতে জানালা এবং দরজায় পর্দা ব্যবহার করুন। এছাড়াও আপনার বাগান বা বাড়ির আশেপাশে যেখানে সবসময় পানি জমে থাকে এমন জায়গাগুলো খালি রাখুন এবং সপ্তাহে একদিন পরিষ্কার করুন।