
আন্দোলন দমনে প্রয়োজনে যেকোনো বাহিনী মোতায়েন: ট্রাম্প

টিবিএন ডেস্ক
জুন ৯ ২০২৫, ২:৫২

ছবি: সংগ্রহীত
- 0
আইসের অবৈধ অভিবাসীবিরোধী অভিযানকে কেন্দ্র করে লস অ্যাঞ্জেলেস এখন ট্রাম্প প্রশাসন আর ট্রাম্পবিরোধীদের যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
এরইমধ্যে ট্রাম্পের ঘোষণা, আন্দোলন দমন করতে নিয়মিত বাহিনীর পাশাপাশি নিয়োগ করেছেন মিলিটারি রিযার্ভ ফোর্স - ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যদের।
১৮০৭ সালের ইনসারেকশান অ্যাক্ট অনুযায়ী, বিশেষ পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট চাইলে সারাদেশে ইউএস আর্মির সদস্যদের মোতায়েন করতে পারেন। পারেন, স্টেইটগুলোর ন্যাশনাল গার্ড ইউনিটকে ফেডারালাইয করে সেগুলোকেও কাজে লাগাতে।
রবিবার নিউ জার্সির মরিসটাউন থেকে এয়ার ফোর্স ওয়ানে চেপে মেরিল্যান্ডের ক্যাম্প ডেভিড অবকাশ কেন্দ্রে যাবার সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, সাম্প্রতিক সহিংস আন্দোলনের জেরে তিনি ক্যালিফোর্নিয়ায় ইনসারেকশান অ্যাক্ট প্রয়োগ করতে যাচ্ছেন কিনা।
ট্রাম্প জানান, প্রয়োজনে সারা দেশে সেনা মোতায়েন করতেও পিছপা হবে না তার প্রশাসন।
আন্দোলন কোন পর্যায়ে গেলে মেরিন সদস্যদের মোতায়েন করা হবে– এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, যখনই মনে হবে দেশ আর দেশের মানুষ বিপদে আছে, তখনই মেরিন সেনাদের মোতায়েন করা হবে।
আন্দোলন শিকাগো, নিউ ইয়র্কের মতো অন্য শহরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, তারা পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।
গণবিতাড়নে বাধা দিলে ক্যালিফোর্নিয়ায় শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ফেডারেল অভিযোগ আনা হবে কিনা জানতে চাওয়া হলে ট্রাম্প বলেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষার পথে যেই বাধা হয়ে দাঁড়াবে তার বিরুদ্ধেই অভিযোগ গঠন করা হবে।
এদিকে, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোম মন্তব্য করেছেন, ২০২০ সালে মিনিয়েপলিসে জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ড ঘিরে যে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিলো, বর্তমান প্রশাসন তার পুনরাবৃত্তি ঘটতে দেবে না।
নোম অভিযোগ করেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নরসহ স্টেইটের শীর্ষ কর্মকর্তারা ঠিকমত সহযোগিতা না করায় লস অ্যাঞ্জেলেসে কঠিন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
রিপাবলিকান রেপ্রেযেন্টেটিভ টনি গনযালেস দাবি করেছেন, লস অ্যাঞ্জেলেসে এখন যা হচ্ছে তাকে কোনভাবেই আন্দোলন বলা যায় না। সেখানে আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হচ্ছে।