দাবানল মোকাবিলায় ফায়ারফাইটারদের সঙ্গে তারকাদের একাত্মতা

টিবিএন ডেস্ক

জানুয়ারি ৯ ২০২৫, ০:৩৩

ছবি কোলাজ

ছবি কোলাজ

  • 0

ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলের ভয়াবহতা অনুধাবন করে ফায়ারফাইটারদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসছেন তারকা অভিনেতাসহ স্থানীয় সাধারণ মানুষও। গণমাধ্যমে দাবানল নিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে সেখানকার পরিস্থিতি তুলে ধরেন অভিনেতা স্টিভ গুটেনবার্গ ও জেইমস উড।

অভিনয় তারকা স্টিভ গুটেনবার্গ লস অ্যাঞ্জেলেসের প্যাসিফিক প্যালিসেডের বাসিন্দা। সেখানে ছড়িয়ে পড়া দাবানলকে ভয়াবহ আখ্যায়িত করে তিনি বলেছেন, আগুনের তীব্রতা দেখে তিনি ভয় পেয়ে গেছেন। একে আগ্নেয়গিরির সঙ্গে তুলনা করেন এ অভিনেতা। দাবানলে স্কুলসহ বিভিন্ন স্থাপনা পুড়ে যাচ্ছে। লোকজন অন্যত্র সরে যাচ্ছে বলে জানান গুটেনবার্গ। প্রচণ্ড বাতাসের কারণে সহসাই এ দাবানল নিয়ন্ত্রণে আসবে না বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

গুটেনবার্গ বলেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে সবার উচিত অন্যদের পাশে দাঁড়ানো।’

ফায়ারফাইটারদের গাড়ি প্রবেশের সুবিধায় রাস্তায় ফেলে রাখা গাড়ি সরিয়ে নিতে বাসিন্দাদের প্রতি আহ্বান জানান গুটেনবার্গ। প্রয়োজনে গাড়িতেই চাবি রেখে দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি। যেনো অন্য কেউ সেখান থেকে গাড়িগুলো সরিয়ে নিতে পারে।

বাড়িতে আগুন লাগায় প্রতিবেশিকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেন হলিউড তারকা জেইমস উড। দাবানলের ভয়াবহতা নিয়ে সিএনএনের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি। বর্ণনা দেন কিভাবে প্রতিবেশিকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন।

জেইমস উড বলেছেন, তার বাড়ির চতুর্দিকে যেখানেই চোখ যায় সবকিছুই আগুনে পুড়ছে। অনেক বাসিন্দা বাড়িঘর ছেড়ে গেলেও তারা ফিরে এসে তাদের সাজানো-গোছানো বাসস্থানটি পাবে না বলে আক্ষেপ করেন উড।

ক্যাল ফায়ারের পাবলিক ইনফরমেশন অফিসার ডেভিড অ্যাকুনা জানিয়েছেন, প্রচণ্ড বাতাসের কারণে আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। কিভাবে আগুনের সুত্রপাত তা সঠিকভাবে বলা না গেলেও দাবানলের পেছনে মানুষের হাত থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না বলে জানান তিনি। বাতাসের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ারফাইটারদের বেগ পেতে হচ্ছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

আগুনের কারণে নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন প্যাসাডেনার বাসিন্দা ববি অলিভার। দূর থেকে আগুনের ভয়ঙ্কর রুপ দেখে বাড়ি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বাতাসের কারণে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ছিলো তাই কোনো ঝুঁকি না নিয়ে পাসপোর্টসহ প্রয়োজনীয় জিনিস ও প্রিয় কুকুরকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ছাড়েন এ নারী। এসময় শুধু আগুন নয়, প্রাণঘাতী প্রচণ্ড ধোঁয়া থেকেও বাঁচতে চেয়েছেন বলে জানান তিনি।


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন