ভারতীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ চান আজাদ কাশ্মীরের বাসিন্দারা

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ৩ ২০২৫, ২০:৪৮

আজাদ কাশ্মীরের মুজাফফরাবাদে শুক্রবার ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ছবি: রয়টার্স

আজাদ কাশ্মীরের মুজাফফরাবাদে শুক্রবার ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ছবি: রয়টার্স

  • 0

কাশ্মীরের বর্তমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরে উত্তেজনা ফের তুঙ্গে উঠেছে, যেখানে বিক্ষোভকারীরা ভারতীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘নির্মম দমনপীড়নের’ অভিযোগ করে এ থেকে নিষ্কৃতি পেতে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ চেয়েছে।

আজাদ কাশ্মীরের মুজাফফরাবাদে শুক্রবার ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এ বিক্ষোভের আয়োজন করে অল পার্টিয হুরিয়ত কনফারেন্স।

কাশ্মীরিদের স্বাধীনতার বিষয়টি তুলে ধরতে ১৯৯৩ সালের ৯ মার্চ গঠিত প্ল্যাটফর্মটিতে ২৬টি রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠন রয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, মুজাফফরাবাদের বিক্ষোভে অংশ নেন শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, পরিবহন শ্রমিক থেকে শুরু করে কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা বা এলওসির কারণে বিচ্ছিন্ন পরিবারগুলো। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মীর অঞ্চলকে বিভক্ত করা বিতর্কিত কার্যত সীমান্তরেখা হলো এলওসি।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া স্থানীয় বাসিন্দা শওকত জাভেদ মীর বলেন, ‘তারা (ভারত) জাফরান, আপেল ও পর্যটন শিল্পের ওপর হামলা চালিয়ে কাশ্মীরের অর্থনীতিকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে। এমনকি এ পাশেও নীলাম, লিপা, বানজোসা ও রাওয়ালকোট উপত্যকায় একসময় চাঙা ছিল পর্যটন।’

কাশ্মীরের বর্তমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

তাদের ভাষ্য, পেহেলগামে প্রাণঘাতী হামলার পর ভারতশাসিত জম্মু-কাশ্মীরে তাদের স্বজনরা হয়রানি, নির্বিচার গ্রেপ্তার ও সামষ্টিক শাস্তির শিকার হচ্ছেন।

কাশ্মীরি নেতা উযাইর আহমাদ গাযালি জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের উদ্দেশে চিঠি লিখেছেন।

চিঠিতে তিনি সাম্প্রতিক হামলার ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত এবং ভারতের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বকে, চীন, অ্যামেরিকা, বৃটেইন, জাতিসংঘ, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং ওআইসিকে বলতে চাই, সত্যিই এ অঞ্চলে শান্তি চাইলে তাদের কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসতেই হবে।’

কাশ্মীরি শরণার্থীদের সংগঠন পাসবান-ই-হুরিয়তের চেয়ারম্যান গাযালি।

বিক্ষোভকারীরা বলছেন, যখন বাড়িঘর ধ্বংস হচ্ছে, গ্রেপ্তার বাড়ছে, যুদ্ধের শঙ্কা বাড়ছে, তখন বিশ্ব আর নীরব থাকতে পারে না। কারণ কাশ্মীরকে আরেকবার ভুলে যাওয়ার পরিণতি শুধু এর পাহাড়েই সীমাবদ্ধ থাকবে না।

পেহেলাগমে গত ২২ এপ্রিলের বন্দুক হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় পাকিস্তানের যোগসূত্র দেখছে ভারত, তবে পাকিস্তান যেকোনো সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে বলেছে, তাদের কাছে ‘বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ’ রয়েছে যে, ভারত শিগগিরই সামরিক হামলার পরিকল্পনা করছে।

ইসলামাবাদ বলেছে, যেকোনো আগ্রাসনের জবাব দেওয়া হবে সমুচিতভাবে।