
ট্রাম্প ও মাস্কের বিরুদ্ধে নিউ ইয়র্ক ও টেক্সাসে বিক্ষোভে

টিবিএন ডেস্ক
জুন ৮ ২০২৫, ২:৪৭

ছবি: সংগ্রহীত
- 0
নিউ ইয়র্ক সিটির টেসলার একটি স্টোরের সামনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার, এইচআইভি প্রতিরোধসহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দকৃত তহবিল কাটছাঁটের প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ হয়।
অন্যদিকে, দেশের সাবেক সেনা সদস্যদের সহায়তা কর্মসূচীতে কাটছাঁট এবং নতুন করে ৮০ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে টেক্সাস স্টেইট ক্যাপিটলের সামনে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
নিউ ইয়র্কে টেসলার একটি স্টোরের সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে হাজারো মানুষ। এইচ-আই-ভি প্রতিরোধসহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ কাটছাঁটের প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ-মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, এই বিক্ষোভ শুধু একটি কোম্পানির বিরুদ্ধে নয়, এটি ইলন মাস্ক এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধেও।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অনেকেই ইলন মাস্ক, হেলথ সেক্রেটারি রবার্ট এফ. কেনেডি জুনিয়র আর প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মুখোশ পরে, হাতে ব্যানার আর প্ল্যাকার্ড নিয়ে অবস্থান করছেন।
২০০৩ সালে চালু হওয়া প্রেসিডেন্ট’স ইমার্জেন্সি প্ল্যান ফর এইডস রিলিফ কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্বের বহু দেশে এইচআইভি প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় সরকার বহু অর্থ বিনিয়োগ করেছে। কিন্তু ট্রাম্পের প্রশাসন এসে এসব অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়। যার ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ে দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, ইলন মাস্ক এবং ট্রাম্পের আর্থিক সিদ্ধান্তের প্রভাব গোটা বিশ্বের এইচআইভি আক্রান্তদের ওপর পড়েছে। বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট’স ইমার্জেন্সি প্ল্যান ফর এইডস রিলিফ প্রোগ্রামে ছাঁটাইয়ের ফলে অ্যান্টি-রেট্রো-ভাইরাল ওষুধের সরবরাহ গেছে।
এদিকে, টেক্সাসের অস্টিনে সামনে অবসারপ্রাপ্ত সেনাদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে জড়ো হয়েছিলেন হাজারো মানুষ।
দেশের সাবেক সেনা সদস্যদের সহায়তা কর্মসূচীতে কাটছাঁট আর নতুন করে ডিপার্ট্মেন্ট অফ ভেটেরান্স অ্যাফেয়ার্সের ৮০ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে টেক্সাস স্টেট ক্যাপিটলের সামনে প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে, চলতি বছরের শুরুতে ট্রাম্প প্রশাসনের নির্দেশে ভেটেরান্স অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্ট থেকে এক হাজারের বেশি কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছিলো।
ভেটেরান্স অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্ট এর এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০৭ সালে যেখানে ২০ শতাংশ সাবেক সেনা মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিতেন, সেখানে ২০২২ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ শতাংশে।