দিল্লির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার জানিয়েছে, তাদের মধ্যে সাতজন ইতোমধ্যেই ভারতে ফিরেছেন।
জানুয়ারিতে দোহা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, তাদের মৃত্যুদণ্ডকে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ডে রূপান্তরিত করা হয়েছে।
কাতারের একটি বেসরকারি সংস্থা দাহরা গ্লোবালের হয়ে কাজ করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আনা হয়েছিল সেটা কাতার বা ভারত কেউই প্রকাশ করেনি।
ফিনান্সিয়াল টাইমস ও রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ইযরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কাতারে ভারতের সাবেক ৮ নৌসেনার মৃত্যুদণ্ড
দিল্লির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘নৌবাহিনীর কর্মকর্তাদের মুক্তি ও দেশে ফেরার বিষয়ে কাতারের আমিরের সিদ্ধান্তকে আমরা সাধুবাদ জানাই।’
২০২২ সালে তাদের গ্রেফতারের খবরটি ভারতীয় পত্রিকায় প্রথম পাতার শিরোনাম হয়।
গত বছরের অক্টোবরে কাতারের কোর্ট অব ফার্স্ট ইনস্ট্যান্স তাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়ার পর ভারত গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে। পরে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সাজার বিরুদ্ধে আপিল করে।
ভারত ও কাতার ঘনিষ্ঠ মিত্র। দিল্লি সম্প্রতি দোহা থেকে ২০৪৮ সালের শেষ পর্যন্ত তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানির জন্য ৭৮ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
এই কর্মকর্তাদের দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ফলে সাময়িকভাবে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অব্যাহত কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলে তাদের মুক্তি দেয়া হয়েছে।