তিনি মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে তার সরকারি বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে একথা জানান। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী এবং আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সরওয়ার উপস্থিত ছিলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধা ভিত্তিক ৯৩ ভাগ, মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ ভাগ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ১ ভাগ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ ভাগ কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্ধারিত কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে শূন্যপদসমূহ সাধারণ মেধা তালিকা থেকে পূরণ করা হবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জারি করা প্রজ্ঞাপন রহিত করা হয়েছে। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলনকারীদের দাবি পূরণ করা হয়েছে। তাদের দাবি ছিল আন্দোলন করতে গিয়ে যারা আহত হয়েছেন তাদের চিকিৎসা নিশ্চিত করা। মন্ত্রী বলেন, যেসব শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন তাদের চিকিৎসার বিষয়ে সরকার দেখভাল করবে। তাদের আরো একটি দাবি ছিল আন্দোলনে সহিংস ঘটনায় আনা মামলায় যেসব শিক্ষার্থীকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে তা থেকে তাদেরকে মুক্ত করা।
আইনমন্ত্রী বলেন, কোটা বিরোধী আন্দোলনের কারণে যেসব শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তার তথ্যাদি সরকারের কাছে দাখিল করলে শিক্ষার্থীদের বিষয়টি দেখা হবে। শিক্ষার পরিবেশ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। সহিংসতার ঘটনা তদন্তে ১ সদস্য বিশিষ্ট একটি বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটি কার্যক্রম শুরু করেছে। পরিস্থিতি শান্ত হলে কমিটি বিভিন্ন ঘটনাস্থলে তদন্তে যাবে।
আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। এক প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, কোটা নিয়ে দেশে কোন আইন ছিল না। এটি প্রজ্ঞাপন বা পরিপত্রের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। এটি সরকারের পলিসি ম্যাটার। সর্বোচ্চ আদালত সংবিধানের ১০৪ অনুচ্ছেদ অনুসরণ করে কোটা সংশোধন সংক্রান্ত রায়টি দিয়েছে।
তিনি বলেন, সর্বোচ্চ আদালত তথা আপিল বিভাগের রায়ের একটি সেমিকোলন, কমা বদলানোর ক্ষমতা আমাদের নেই। সর্বোচ্চ আদালত যেভাবে রায় দিয়েছেন সেটিই প্রতিপালন করছে সরকার।
সর্বোচ্চ আদালতের রায়টিকে যুগান্তকারী বলে মন্তব্য করেন তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াত শিবির ও জঙ্গিরা সহিংস ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে। সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সরকার প্রস্তুত রয়েছে।