
ফেইসবুক-ইনস্টাগ্রামে ফ্যাক্ট চেকার থাকবে না: জাকারবার্গ

টিবিএন ডেস্ক
জানুয়ারি ৮ ২০২৫, ০:০৯

প্রতীকী ছবি
- 0
ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও থ্রেডসের মালিক প্রতিষ্ঠান মেটা তাদের কনটেন্ট মডারেশন কৌশল থেকে থার্ড পার্টি ‘ফ্যাক্ট চেকিং’ প্রক্রিয়া বাদ দিয়ে কমিউনিটি ভিত্তিক প্রক্রিয়া চালুর ঘোষণা দিয়েছে।
থার্ড পার্টির মাধ্যমে মেটার ফ্যাক্ট চেকিং প্রোগ্রাম বাতিল করার সিদ্ধান্তের ঘোষণায় প্রযুক্তিবিদদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। থার্ড পার্টির পরিবর্তে ইলন মাস্কের এক্স-এর মতো কমিউনিটি ভিত্তিক প্রক্রিয়া চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেটা। এই প্রক্রিয়ায়, ব্যবহারকারীরা ‘কমিউনিটি নোটস’ সৃষ্টির মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য চিহ্নিত করতে পারেন।
মঙ্গলবার সামাজিক মাধ্যম ফেইসবুকে প্রকাশিত এক ভিডিওবার্তায় মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ জানান, তারা তাদের সামাজিক মাধ্যমের নীতিমালা আরো সহজ করে মেটার মালিকানাধীন প্ল্যাটফর্মগুলোতে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মেটার নতুন তিনটি সিদ্ধান্তের কথা জানান যাকারবার্গ।
১. থার্ড পার্টির মাধ্যমে ফ্যাক্ট চেক বাদ দিয়ে কমিউনিটি নোটস প্রক্রিয়া চালু করে তথ্যের যথার্থতা যাচাই করা।
২. কিছু কিছু বিষয়ে পোস্ট করা মেটার সামাজিক মাধ্যমগুলোতে নিষিদ্ধ। ধীরে ধীরে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে মানুষকে মত প্রকাশের ক্ষেত্রে আরো স্বাধীনতা উপভোগের সুযোগ দেয়া।
৩. রাজনৈতিক কনটেন্টের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের চাওয়াকে আরো বেশি মূল্য দেয়া এবং তারা যেন তাদের পছন্দের রাজনৈতিক বিষয়গুলো নিজেদের নিউজ ফিডে দেখতে পারে তা নিশ্চিত করা।
এই পদক্ষেপের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘ফ্যাক্ট চেকের পুরো প্রক্রিয়াটি রাজনৈতিক ভাবে পক্ষপাতদূষ্ট এবং ব্যবহারকারীদের আস্থা নষ্ট করছে।’
মেটার এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে সিএনএনকে বিশ্লেষক ক্লেয়ার ডাফি বলেন, ‘এর ফলে মেটার তিনটি প্ল্যাটফর্মই খারাপ কনটেন্টে ভরে যেতে পারে। মার্ক যাকারবার্গ এটি জেনেশুনেই এমন পদক্ষেপ নিচ্ছেন বলে নিশ্চিত করেন ডাফি।’
এদিকে হাউয অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন্স কমিটির সদস্য ডেমোক্র্যাটিক কংগ্রেসম্যান মাইক কুইগলি নির্বাচনে ট্রাম্প হেরে গেলে যাকারবার্গ এই পদক্ষেপ নিতেন কি না এমন প্রশ্ন তুলেছেন।
তিনি মনে করেন, সামাজিক মাধ্যম দেশের গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী হাতিয়ার এবং এর লাগাম ছেড়ে দিলে গণতন্ত্রের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
এদিকে ইলেকট্রনিক ফ্রন্টিয়ার ফাউন্ডেশনের ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশনের ডিরেক্টর জিলিয়ান ইয়র্ক এই সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক মনে করছেন।