লৌহ যুগের ওই সময়ে যেরুযালেমে অভিজাত সম্প্রদায় এ ধরনের টয়লেট ব্যবহার করতেন। তবে তাদের মলের নমুনায় জিয়ারডিয়া নামের পরজীবীর উপস্থিতি পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
পরজীবী জিয়ারডিয়া মানুষের অন্ত্রে পৌঁছে আমাশয় বা ডায়রিয়ার মতো রোগ সৃষ্টি করে। এসব রোগ অনেক সময় প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। এই পরজীবী পানি, মাটি বা খাদ্যের মাধ্যমে সংক্রমিত হতে পারে।
যেরুযালেমে প্রত্নতাত্ত্বিক খননের সময় ১৯৯১ সালে এবং ২০১৯ সালে এ দুটি টয়লেটের সন্ধান পাওয়া যায়। সেখানকার নিচের মাটিতেই পরজীবীটির উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটির পরজীবীবিদ পিয়ার্স মিশেল এসব টয়লেটকে তখনকার সময়ে সম্ভ্রান্ত পরিবারের সুদৃশ্য টয়লেট হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
এককোষী পরজীবী জিয়ারডিয়া দুনিয়ার যেখানে মানুষের বিচরণ আছে তার সবখানেই পাওয়া যায়। তবে অন্যান্য পরজীবী যেখানে শতাব্দীর পর শতাব্দী মাটিতে বেঁচে থাকতে পারে, সেখানে জিয়ারডিয়া দ্রুত মরে যায়, এমনকি মাইক্রোস্কোপের নিচেও দেখা যায় না।
মিশেল জানান, নমুনার পরজীবীটি টয়েলেটের সময়কালের কিনা তা নিয়ে এখনও যথেষ্ট সন্দেহ আছে। এর কারণ হলো প্রাচীন রোগগুলোর গতিপ্রকৃতি বের করা প্রায় দুঃসাধ্য।
জিয়ারডিয়ার সঙ্গে আরও দুই ধরনের জীবাণুর খণ্ডাংশের সন্ধান পাওয়া গেছে অনুসন্ধানে।