মঙ্গলবার সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচীতে অংশ নিয়ে জিম্মিদের পরিবারের সদস্যরা জানান, অ্যাপের মাধ্যমে টাকা উপার্জনের টার্গেট পূরণ করতে না পারলে জিম্মিদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে। বারবার অভিযোগ জানানোর পরও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে জানান তারা।
চোখেমুখে উদ্বেগ আর আতঙ্ক। ছেলে ফয়সাল মিয়ানমারে মাফিয়াদের হাতে জিম্মি। মায়ের চোখের জল তাই আর বাঁধ মানছে না। বারবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেও কোন সুরাহা মেলেনি বলে জানান এক নারী।
দেশটিতে সাইবার অপরাধ চক্রের হাতে জিম্মি রয়েছেন ১২ জন বাংলাদেশি। ভালো চাকরি আর উচ্চ বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে তাদেরকে প্রথমে থাইল্যান্ডে নেয়া হয়। এরপর মিয়ানমারে জিম্মি করে বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের টার্গেট দেয়া হয়। টার্গেট পূরণে ব্যর্থ হলেই চালানো হয় অমানুষিক নির্যাতন।
মঙ্গলবার সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন মিয়ানমারে জিম্মি থাকা ১২ জনের পরিবারের সদস্যরা। স্বজনরা জানান, উচ্চ বেতনে চাকরির কথা শুনে থাইল্যান্ড যাওয়ার পর তাদরেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মিয়ানমারে নিয়ে যায় প্রতারক চক্রের সদস্যরা।
স্বজনরা জানান, গত ছয় মাসে বারবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যাওয়ার পরও এ বিষয়ে কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। প্রিয়জনদের ফিরে পাবার আকুতি ছিলো সবার কন্ঠে। জিম্মিদের উদ্ধারে এরই মধ্যে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।