বুধবার ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ১৩ এপ্রিলের মধ্যে এই পাল্টা শুল্ক আরোপের কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান ইউরোপের ভোক্তা এবং ব্যবসাকে সুরক্ষা দিতেই নেয়া হচ্ছে এমন উদ্যোগ।
এবার অ্যামেরিকার শুল্ক আরোপের বিপরীতে পাল্টা জবাব দেয়ার ঘোষণা দিলো ইউরোপ। বুধবার ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন জানান, ২৬ বিলিয়ন ইউরো মূল্যের অ্যামেরিকান পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করবেন তারা।
কমিশনের প্রেসিডেন্ট ভন ডার লিয়েন বলেন, ইইউকে অবশ্যই তার ভোক্তা এবং ব্যবসার সুরক্ষার জন্য কাজ করতে হবে। এই শুল্কের আওতায় জাহাজ, অ্যালকোহল ও মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন পণ্য অন্তর্ভুক্ত হবে। ইউরোপিয়ান কমিশন জানিয়েছে, তারা পরবর্তীতে অন্যান্য পণ্যের বিভাগ নির্বাচনের জন্য দুই সপ্তাহের পরামর্শ শুরু করবে।
দুই ধাপে আরোপ করা এই শুল্ক অ্যামেরিকার ওপর ১ এপ্রিল থেকে শুরু হবে এবং ১৩ এপ্রিল থেকে সম্পূর্ণরূপে কার্যকর হবে বলে জানান লিয়েন। তবে এসময় অ্যামেরিকার সামনে আলোচনার সুযোগ রয়েছে বলেও জানান ইইউ’র ট্রেইড কমিশনার মারোস সেভকোভিচ।
এর আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, শুল্ক আরোপ করলে বাণিজ্য ভারসাম্য ঠিক হওয়ার পাশাপাশি অ্যামেরিকান শিল্প কারখানায় কর্মসংস্থান তৈরি হবে। তবে ট্রাম্পের এমন দাবি উড়িয়ে দিয়ে লিয়েন আশঙ্কা করছেন, বাণিজ্য যুদ্ধে দুই পক্ষের চাকরি বাজারই ঝুঁকির মুখে পড়বে। একই সঙ্গে বাড়বে নিত্যপণ্যের দাম।
ট্রাম্প প্রশাসনের আগ্রাসী শুল্কনীতির সরাসরি প্রভাব এরইমধ্যে পড়তে শুরু করেছে অ্যামেরিকার শেয়ার বাজারে। টানা দর পতনে বড় ধরনের ধস দেখছে শেয়ার বাজার। ব্লুমবার্গের মতে, এর ফলে বিনিয়োগকারীদের এক ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি ক্ষতি হয়েছে।