
ঢেলে সাজানো হচ্ছে শত বছর পুরনো ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ ইমিগ্রেশন

টিবিএন ডেস্ক
এপ্রিল ৭ ২০২৪, ১০:৩৪
.jpg)
এলিস আইল্যান্ডের ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ ইমিগ্রেশনে যাচ্ছেন দর্শনার্থীরা।ছবি: সংগৃহীত
- 0
ঐতিহাসিক এলিস আইল্যান্ডের ১২৫ বছর পুরনো ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ ইমিগ্রেশনকে সংস্কারের মাধ্যমে আধুনিক রুপে সাজাতে ১০০ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
সংস্কার বিষয়ে এলিস আইল্যান্ড ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট ও সিইও জেসি ব্র্যাকেনবারি বলেছেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। তাই এই পরিকল্পনা একটি ঐতিহাসিক প্রচেষ্টা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রাসঙ্গিক।
তিনি আরও বলেছেন, প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দর্শনার্থীদের ব্যক্তিগতভাবে আইল্যান্ডের ইতিহাসের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেয়া।
নিউ ইয়র্ক হারবারে অবস্থিত বিখ্যাত এলিস আইল্যান্ড ১৯৮২ সালে প্রথম অভিবাসীদের জন্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে পরিণত হয়। ন্যাশনাল পার্ক সার্ভিসের মতে, প্রায় ৪০ শতাংশ অ্যামেরিকান জনসংখ্যা এলিস আইল্যান্ডের মাধ্যমে তাদের পূর্বপুরুষের সন্ধান করতে পারে।
.jpg)
অনেক দর্শনার্থী এখানে অনুসন্ধানের চেষ্টা করতেই আসেন।
ব্র্যাকেনবারি বৃহস্পতিবার সিএনএনকে এই ঐতিহাসিক মিউজিয়াম সম্পর্কে বলেছেন, ‘এই আইল্যান্ডে ভ্রমণ দর্শনার্থীদের আবেগ তাড়িত করে। কেননা তারা ঠিক সে জায়গায় ফেরি থেকে নামে যেখান থেকে একসময় ১২ মিলিয়ন মানুষ নেমেছে। পূর্ব পুরুষদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে তাদের অবস্থানরত কক্ষগুলোতে ভ্রমণ করা একটি অন্যরকম অনুভূতি। এটি এমন একটি জায়গা যার দেয়ালগুলোতে শুধু ইতিহাসের ছোঁয়া।’
ব্র্যাকেনবারি জানিয়েছেন, নতুন করে সংস্কার প্রকল্পের অংশ হিসেবে, মিউজিয়ামের সাইটে কয়েক মিলিয়ন মানুষ তাদের পূর্বপুরুষদের নিয়ে গবেষণা করতে সক্ষম হবেন। ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী মিউজিয়ামের অনুসন্ধান সংক্রান্ত ডেটায় অ্যামেরিকার বন্দর জুড়ে প্রায় ৯০ মিলিয়ন অতিরিক্ত অভিবাসীর রেকর্ড অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
তিনি বলেছেন, শুধু নিউইয়র্ক পোর্টের রেকর্ড নয় সান ফ্রান্সিসকো বন্দর ও নিউ অরলিন্সের রেকর্ডগুলো সহ আরও অনেক কিছুর জন্য ডেটাগুলোকে বিস্তৃত করা হবে।
.jpg)
বর্তমানে মিউজিয়াম হিসেবে স্থাপিত ইটের ভবনটি ১৯০০ সালে খোলা হয়। ১২ মিলিয়নেরও বেশি অভিবাসীদের স্থানান্তরিত করার পর এলিস আইল্যান্ড ১৯৫৪ সালে বন্ধ হয়ে যায় এবং কয়েক দশক পর্যন্ত বন্ধ থাকে।
পরবর্তীতে ১৯৮২ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগান ক্রাইসলারের চেয়ারম্যান লি আইকোকাকে পাশে থাকা লিবার্টি আইল্যান্ডের (যেখানে স্ট্যাচু অফ লিবার্টি রয়েছে) সঙ্গে এই ঐতিহাসিক স্থানটিও পুনরুদ্ধার করার জন্য ব্যক্তিগত তহবিল সংগ্রহ অভিযানের নেতৃত্ব দেয়ার নির্দেশ দেন।
কয়েক মিলিয়ন ডলার সংগ্রহের মাধ্যমে ভবনটি সংস্কারের কাজে হাত দেয়া হয়। সাইটটি পরিচালনাকারী ফাউন্ডেশন ও ন্যাশনাল পার্ক সার্ভিসের মধ্যে একটি পাবলিক-প্রাইভেট অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ১৯৯০ সালে মিউজিয়ামটি জনসাধারণের জন্য পুনরায় খোলা হয় যেখানে প্রায় ৫০ মিলিয়নের বেশি দর্শনার্থী ভ্রমণ করেছেন।
.jpg)
অতিরিক্ত সংস্কারের প্রয়োজন উল্লেখ করে ব্র্যাকেনবারি বলেছেন, ৩০ বছর আগে মিউজিয়ামটির শেষ সংস্কার কাজ করা হয়।
মিউজিয়ামের অভ্যন্তরীণ সংস্কার ন্যাশনাল পার্ক সার্ভিস প্রকল্পের সঙ্গে মিল রেখে করা হবে। মূল অভিবাসন ভবনের বাইরের অংশ পুনর্বাসন করা হবে যার মধ্যে রাজমিস্ত্রি, জানালা, স্কাইলাইট ও ছাদ মেরামত রয়েছে।
কিছু অভ্যন্তরীণ হিটিং, ভেন্টিলেশন ও এয়ার কন্ডিশনিংয়ের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে বলে ব্র্যাকেনবারি জানিয়েছেন।
.jpg)
ব্র্যাকেনবারি জানিয়েছেন, সংস্কারের সময় মিউজিয়ামটি খোলা থাকবে। সংস্কার কাজ পর্যায়ক্রমে চলবে যা ২০২৬ সালে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মিউজিয়ামের অভ্যন্তরকে নতুন করে সাজানোর পরিকল্পনায় ৬০ শতাংশ অর্থায়ন করা হয়েছে বাকি অতিরিক্ত তহবিল সংগ্রহের জন্য পাবলিক প্রচারাভিযান শুরু হয়েছে।
ব্র্যাকেনবারি আশা করছেন পারিবারিক ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করার সুযোগ ছাড়াও অ্যামেরিকানরা ভিন্ন একটি মিউজিয়াম দেখতে পাবে।
.jpg)
প্রথমবার এলিস আইল্যান্ড খোলার জন্য যে দাতারা এই প্রকল্পে কমপক্ষে ১৮.৯২ ডলার অবদান রেখেছেন সেসব দাতাদের সম্মানে তাদের নামগুলো এর সংস্কারকৃত ব্যাগেজ রুমে একটি ডিজিটাল রেজিস্ট্রিতে তালিকাভুক্ত করা হবে।
ব্র্যাকেনবারি আশা করছেন এই জাতীয় স্মৃতিস্তম্ভটি একটি জাতীয় প্রচেষ্টা হিসেবে প্রত্যেক কে অনুপ্রাণিত করবে।