মানবপাচারের সাজা দিতে দেশে আনা হলো আবরেগো গার্সিয়াকে

টিবিএন ডেস্ক

জুন ৭ ২০২৫, ২:২৭

ছবি: সংগ্রহিত

ছবি: সংগ্রহিত

  • 0

ভুলবশত এল স্যালভাদরে নির্বাসিত, মেরিল্যান্ডের বাসিন্দা কিলমার আবরেগো গার্সিয়ার বিরুদ্ধে, আদালতে মানবপাচারের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায়, তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

শুক্রবার অ্যাটর্নি জেনারেল প্যাম বন্ডি জানিয়েছেন, গার্সিয়াকে টেনেসির গ্র্যান্ড জুরি আদালতে হাজির করে তাকে সাজা শোনানো হবে।

সাজাভোগ শেষে তাকে আবারো নিজ দেশ এল স্যালভাদরে ফেরত পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।

এবিষয়ে সামাজিক মাধ্যমে এক্সে দেয়া এক পোস্টে, সেনেটর ক্রিস ভ্যান হলেন বলেছেন,আবরেগো’কে দেশে ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসন আদালতের রায় মানার বিষয়ে তাদের দাবির কাছে নতি স্বীকার করেছে।

প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের গণ বিতাড়ন কর্মসূচী নিয়ে চলমান বিতর্ক বহুগুনে উসকে দিয়েছিলো মেরিল্যান্ডের বাসিন্দা কিলমার আবরেগো গার্সিয়াকে ভুলবশত দেশ থেকে বিতাড়িত করে এল স্যালভাদরের কারাগারে প্রেরণ।

যখন কিনা ২০১৯ সালে এক অভিবাসন বিচারক, এল স্যালভাদরের নাগরিক কিলমারকে নির্বাসনের হাত থেকে রক্ষা করে বলেছিলেন, দেশে ফেরত পাঠানো হলে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা তার ক্ষতি করতে পারে।

কিন্তু গত মার্চে আবরেগো গার্সিয়াকে আইসের সদস্যরা গ্রেফতারের পরে, কোনো ধরনের নোটিশ বা শুনানি ছাড়াই তিন দিনের মধ্যে এল সালভাদরের কারাগারে পাঠিয়ে দেয়। যা দেশে-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।

বিষয়টি আদালতে গড়ালে, সবশেষ সুপ্রিম কোর্টের রায় দেয়, ট্রাম্প প্রশাসনের দায়িত্ব, কিলমারের প্রত্যাবর্তনে সহায়তা করা।

শুক্রবার অ্যাটর্নি জেনারেল প্যাম বন্ডি জানালেন, আদালতের নির্দেশনার কারণে নয়, কিলমারকে দেশে আনা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে মানব পাচারের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার কারণে।

২০২২ সালে টেনেসির রাস্তায় পুলিশ আবরেগোর গাড়ি থামালে, সেখানে বেশ কয়েকজন অবৈধ অভিবাসীর খোঁজ পায়। যারা সবাই আবরেগোর বাসার ঠিকানা ব্যবহার করছিলো।

তবে দেশে এসে সাজাভোগ করেই পার পাবেন না কিলমার। তাকে আবারও তার নিজ দেশ এল স্যালভাদরে ফেরত পাঠাতে চান বন্ডি।

প্যাম বন্ডি জোর গলায় বলেন, টেনেসির একটি আদালতের গ্র্যান্ড জুরি এ বিষয়ে নিশ্চিত যে, কিলমার গত নয় বছর ধরে একটা মানব পাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কাজ করেছে।

আদালতের বরাত দিয়ে বন্ডি জানান, আবরেগো গার্সিয়া কয়েক হাজার অপরাধীকে অবৈধভাবে দেশে প্রবেশের সুযোগ করে দিয়েছে। সে শিশু পাচারের সঙ্গেও জড়িত ছিলো।

বন্ডি দাবি করেন, আবরেগো গার্সিয়া দেশের বিভিন্ন অংশে কয়েক দফায় অবৈধ অস্ত্র এবং মাদক সরবরাহ করেছে।

লিংক ১ সিংক: টিসি ইন: ০২.২৯ টিসি আউট: ০২.৩৭

আদালতে উত্থাপিত গার্সিয়ার অপরাধের বিস্তারিত তুলে ধরে বন্ডি বলেন, গার্সিয়া দেশের নিরাপত্তার জন্য একটা বড় হুমকি।

এদিকে, আবরেগোর সঙ্গে সংহতি জানাতে এল স্যালভাদর ভ্রমণ করা সেনেটর ক্রিস ভ্যান হলেন, সামাজিক মাধ্যমে এক্সে দেয়া এক পোস্টে বলেন, আবরেগোকে দেশে ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসন আদালতের রায় মানার বিষয়ে তাদের দাবির কাছে নতি স্বীকার করেছে।