সফরের উদ্দেশ্য রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেয়া, স্থানীয় সার্জনদের প্রশিক্ষণদান এবং অসুস্থদের জন্য চার মিলিয়ন ডলারের সরঞ্জাম সহায়তা প্রদান।
ফজর সায়েন্টিফিকের সভাপতি খালেদ সালেহ জানান, এর মাধ্যমে জয়েন্টে সমস্যা এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার কারণে হুইলচেয়ারে থাকা কিংবা যারা হাঁটতে লাঠি ব্যবহার করেন তারা উপকৃত হবেন।
সালেহ বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য তাদেরকে সুস্থ করার মাধ্যমে পরিবার ও সমাজের সক্রিয় সদস্য হিসেবে উপস্থাপন করা।’
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দলটির এই সফরের অন্যতম লক্ষ্য স্থানীয় সার্জিক্যাল টিমের সক্ষমতা বাড়ানো।
ফজর সায়েন্টিফিকের প্রধান নির্বাহী মোসাব নাসের জানান, এর উদ্দেশ্য প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পরে আরও অস্ত্রোপচার করতে সাহায্য করা।
অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা এবং বছরের পর বছর অবরোধ ইসলামপন্থি গ্রুপ হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার অর্থনীতিকে দুর্বল করেছে। সেখানকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা জরাজীর্ণ।
৫৭ বছর বয়সী হালিমা আবু হায়া জানান, তিনি হাঁটুর জয়েন্ট প্রতিস্থাপনের জন্য তিন বছর অপেক্ষা করেছিলেন। কারণ গাজার বাইরে ব্যয়বহুল চিকিৎসা খরচ বহন করা তার পক্ষে সম্ভব নয়।
অস্ত্রোপচারের একদিন পর তিনি রয়টার্সকে বলেন, ‘আমি আশাবাদী। তারা আমাকে বলেছেন আমি শিগগিরই ব্যথা ছাড়াই হাঁটতে পারব এবং আমার হাঁটু হারানোর বিষয়ে আমাকে চিন্তা করতে হবে না।’