অভিবাসন আদালতে গ্রেপ্তারের পর মুক্ত নিউ ইয়র্ক সিটি কম্পট্রোলার ল্যান্ডার

টিবিএন ডেস্ক

জুন ১৭ ২০২৫, ১৮:৪২

ব্র্যাড ল্যান্ডার। ছবি: এনওয়াইসি কম্পট্রোলার অফিস

ব্র্যাড ল্যান্ডার। ছবি: এনওয়াইসি কম্পট্রোলার অফিস

  • 0

সিটির একটি অভিবাসন আদালতে এক ঘটনার পর আইসের এজেন্টরা তাকে আটক করে বলে মঙ্গলবার এনবিসি নিউজকে জানিয়েছেন তার প্রচারদলের এক মুখপাত্র।

ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট-আইসের হাতে গ্রেপ্তারের কয়েক ঘণ্টা পর ছাড়া পেয়েছেন নিউ ইয়র্ক সিটির কম্পট্রোলার এবং মেয়র প্রার্থী ব্র্যাড ল্যান্ডার।

সিটির একটি অভিবাসন আদালতে এক ঘটনার পর আইসের এজেন্টরা তাকে গ্রেপ্তার করে বলে মঙ্গলবার এনবিসি নিউজকে জানান তার প্রচারদলের মুখপাত্র।

এনবিসি নিউজকে পাঠানো ইমেইলে ল্যান্ডারের প্রেস সেক্রেটারি ক্যাট ক্যাপোসেলা জানান, ল্যান্ডারকে মুখোশধারী এজেন্টরা ধরে নিয়ে যান এবং আইস তাকে আটক করে। ল্যান্ডার এক আসামিকে অভিবাসন আদালত থেকে বের করে নিয়ে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।

আদালতের বাইরে ল্যান্ডারের দপ্তর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তার স্ত্রী মেগ বারনেট সাংবাদিকদের বলেন, ‘ল্যান্ডার এখনও হেফাজতে, তবে আমি নিশ্চিত, ব্র্যাড শিগগিরই মুক্ত হবেন।’

ল্যান্ডারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না, তা এখনও পরিষ্কার নয়।

ল্যান্ডারের অবস্থান বা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি আইসের তত্ত্বাবধায়ক সংস্থা হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট।

ল্যান্ডার আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় ডেমোক্র্যাটিক প্রাইমারিতে নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ঘটনার পরবর্তী মুহূর্তের একটি ভিডিও ল্যান্ডারের দপ্তর এনবিসি নিউজকে সরবরাহ করেছে, যেখানে তাকে আদালতের করিডোরে হাতকড়া পরানো অবস্থায় দেখা যায়।

তিনি আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি বাধা দিচ্ছি না, আমি স্রেফ করিডরে দাঁড়িয়ে আছি। আমি বিচারিক পরোয়ানা দেখতে চেয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিচারিক পরোয়ানা চাওয়া অ্যামেরিকান কোনো নাগরিককে গ্রেপ্তারের এখতিয়ার নেই আপনাদের।’

এরপর তাকে পেছন থেকে হাতকড়া পরিয়ে একটি লিফটে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই সময় তার এক সহকারীকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনারা নিউ ইয়র্ক সিটির কম্পট্রোলারকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন?’

সংবাদ সম্মেলনে ল্যান্ডারের স্ত্রী মেগ বারনেট ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতির সমালোচনা করেন।

তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রে বিচারকরা আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ খারিজ করলেও পরে তাদের ফেডারেল এজেন্টদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে, যারা তাদের বিতাড়নের প্রক্রিয়া শুরু করছে।

তিনি বলেন, ‘এইভাবে আমরা আইনের শাসন নিয়ে কাজ করি না; অ্যামেরিকায় মানুষের সঙ্গে এভাবে আচরণ করা হয় না।’