ট্রাম্প প্রশাসন বাণিজ্য সমঝোতায় বিস্ময়কর অগ্রগতি অর্জন করেছে। দশটির বেশি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির দ্বারপ্রান্তে অ্যামেরিকা। সোমাবার এমন দাবি করেছেন হোয়াইট হাউয ন্যাশনাল ইকোনমিক কাউন্সিল ডিরেক্টর কেভিন হ্যাসেট। ফক্স নিউযের সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, পুরো বিষয়টি এখন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ওপর নির্ভর করছে। তিনি সন্তুষ্ট হলেই চুক্তির বিষয়ে যেকোন সময় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানিয়েছেন হ্যাসেট।
গত রবিবার ডনাল্ড ট্রাম্প জানান, খুব শীঘ্রই সেমিকন্ডাক্টর/সেমাইকন্ডাক্টর এবং চিপসের ওপর শুল্কারোপ করা হবে। চলতি সপ্তাহেই এই বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে বলে জানান প্রেসিডেন্ট। এয়ারফোর্স ওয়ানে দেয়া তাঁর সেই বক্তব্য ঘিরে আলোচনা চলছে কত হারে শুল্ক ধারয করবেন তিনি।
তবে স্টিল, অ্যালুমিনিয়াম কিংবা অটোমোবাইল শিল্পের মতো এক্ষেত্রে কঠোর হওয়া যাবে না বলে জানান ট্রাম্প। বলেন, কিছুটা ছাড় দেয়ার মানসিকতা নিয়েই চিপসের ওপর শুল্ক নির্ধারণ করবেন তিনি। এদিকে শুক্রবার রাতে জানা যায় ইলেকট্রনিক্স পণ্য ও যন্ত্রাংশ পাল্টাপাল্টি শুল্কেরআওতায় নারাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।
সেদিন রাতে কাস্টমস এন্ড বর্ডার প্রটেকশান এজেন্সি ছাড় পাওয়া ২০টি ক্যাটাগরির ইলেকট্রনিক্স পণ্যের তালিকাও প্রকাশ করে। কিন্তু এই বিষয়ে ট্রাম্পের বাণিজ্য টিম দ্বিধাবিভক্ত। অ্যাডভাইযর পিটার ন্যাভারো বলছেন, এই খাতে কোন ছাড় দেয়া হয়নি কমার্স সেক্রেটারি হাওয়ার্ড লাটনিক বলছেন, ছাড় আছে তবে তা সাময়িক।
সবশেষ হোয়াইট হাউয ন্যাশনাল ইকোনমিক কাউন্সিল ডিরেক্টর কেভিন হ্যাসেট জানালেন, ইলেকট্রিনক্স পণ্যে প্রকৃতপক্ষে কোন ছাড় দেয়া হয়নি। কিছুটা ভিন্ন উপায়ে শুল্কারোপ করা হয়েছে। হোয়াইট হাউযের বাইরে এই বিষয়ে সাংবাদিকদের এমন তথ্য দিয়েছেন হ্যাসেট।
এক প্রশ্নের জবাবে কেভিন স্বীকার করে নিয়েছেন মিত্রদের সাথে চায়নার বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে গভীর উদ্বেগে আছে প্রশাসন।
ওদিকে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলছে, প্রশাসনের শুল্কনীতি অস্পষ্ট এবং প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। এরপরও হ্যাসেট দাবি করেছেন, ট্রাম্প প্রশাসন বাণিজ্য সমঝোতায় বিস্ময়কর অগ্রগতি অর্জন করেছে। দশটির বেশি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির দ্বারপ্রান্তে অ্যামেরিকা।
সোমাবার এমন দাবি করেছেন হোয়াইট হাউয ন্যাশনাল ইকোনমিক কাউন্সিল ডিরেক্টর। ফক্স নিউযের সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, পুরো বিষয়টি এখন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ওপর নির্ভর করছে। তিনি সন্তুষ্ট হলেই চুক্তির বিষয়ে যেকোন সময় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানিয়েছেন হ্যাসেট।