ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি একটি বাঙ্কারে অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছে লন্ডনভিত্তিক ইরান ইন্টারন্যাশনাল।
ইরানের অভ্যন্তরীণ দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার শুরুর সময়ে ইরানে ইসরায়েলের হামলার কয়েক ঘণ্টা পর খামেনিকে নেওয়া হয় ভূগর্ভস্থ একটি বাঙ্কারে। এর অবস্থান তেহরানের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় লাভিজানে।
সূত্রগুলো জানায়, ছেলে মুজতবাসহ খামেনির গোটা পরিবার তার সঙ্গে রয়েছে।
এসব সূত্র আরও জানায়, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘ট্রু প্রমিজ ওয়ান’ ও ‘ট্রু প্রমিজ টু’ নামের দুটি অভিযানের সময়ও খামেনির পরিবারকে বাঙ্কারে নেওয়া হয়। সে সময় ছেলে মুজতবা খামেনির সঙ্গে থাকলেও অপর দুই ছেলে মাসুদ ও মোস্তফা ছিলেন বাইরে।
‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ ওয়ান’ নামের অভিযানে প্রথমবারের মতো ইসরায়েলে সরাসরি আঘাত করে ইরান। গত বছরের ১৩ এপ্রিল তিন শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে ইসরায়েলের সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে এ হামলা চালায় তেহরান।
সিরিয়ার দামেস্কে ইরানের দুই জেনারেল হত্যার বদলা হিসেবে ওই হামলা চালানো হয়।
একই বছরের পহেলা অক্টোবর ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ টু’ শুরু করে ইরান। হিজবুল্লাহর সাবেক প্রধান হাসান নাসরাল্লাহসহ মিত্রদের হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে সে অভিযান চালায় দেশটি।
অভিযানে প্রায় ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইসলামি প্রজাতন্ত্রটি।
ইসরায়েল রবিবার দেশটি থেকে দুই হাজার ৩০০ কিলোমিটার দূরে ইরানের মাশহাদ শহরে প্রথমবারের মতো হামলা করে।
মধ্যপ্রাচ্যের একটি কূটনৈতিক সূত্র ইরান ইন্টারন্যাশনালকে জানায়, মাশহাদে হামলার মাধ্যমে ইসরায়েল এ বার্তা দিয়েছে যে, ইরানের কোনো স্থানেই নিরাপদ নন আয়াতুল্লাহ খামেনি।