বৃহস্পতিবার তুর্কিয়ের ইস্তাম্বুলে, রাশিয়ার সাথে প্রথম প্রত্যক্ষ যুদ্ধবিরতির আলোচনায় বসতে প্রস্তুত ইউক্রেইন। প্রতিনিধিত্ব করবেন, দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির যেলেন্সকি। অন্যদিকে, যুদ্ধবিরতির আলোচনায় সম্মত হয়েছে ক্রেমলিনও। তবে, রাশিয়ার পক্ষ থেকে আলোচনায় কে যোগ দেবেন, তা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধোঁয়াশা।
মস্কোর স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, কিয়িভের সাথে বৈঠকে থাকছেন না, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভ। অন্যদিকে, কাতারের উদ্দেশ্যে যাত্রার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায়, এমন অনিশ্চয়তার কথা জানান, প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পও।
মধ্যস্থতাকারী হিসেবে অ্যামেরিকার পক্ষ থেকে স্টেইট সেক্রেটারি মার্কো রুবিও উপস্থিত থাকবেন বলে জানান তিনি। একইসাথে, অ্যামেরিকার হয়ে শান্তি আলোচনায় যোগদানের বিষয়টি বিবেচনা করছেন, ট্রাম্প।
এদিকে, মস্কো থেকে আলোচনায় কে অংশ নেবে, তার ওপর নির্ভর করবে বৈঠকের গতিপথ। প্রস্তাবিত আলোচনার একদিন আগে, ভিডিও বার্তায় এমন কথা বলেন, প্রেসিডেন্ট যেলেন্সকি।
যেকোনো ধরণের আলোচনায় তার সায় রয়েছে জানিয়ে যেলেন্সকি বলেন, যুদ্ধ বন্ধে কেবল ক্রেমলিনের পক্ষ থেকেই ইতিবাচক সাড়া আসা বাকি।
অন্যদিকে, ইউক্রেইন প্রশ্নে পশ্চিমাদের বিভক্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, জার্মানির নতুন চ্যান্সেলর ফেডেরিখ মার্য। বুধবার, জার্মান পার্লামেন্ট বুন্দেসট্যাগে বক্তৃতার সময় মার্য জোর দিয়ে বলেন, যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ইউরোপ ও অ্যামেরিকার মিত্রদের মধ্যে ঐক্য নিশ্চিতে কাজ করছেন তিনি।