জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলে বাড়ে বিষণ্নতার ঝুঁকি

টিবিএন ডেস্ক

জুন ১৭ ২০২৩, ১৭:৩৭

পিল গ্রহণে বয়স্ক নারীর তুলনায় কমবয়সী নারীরা এ কারণে অতিমাত্রায় বিষণ্নতায় ভুগেন

পিল গ্রহণে বয়স্ক নারীর তুলনায় কমবয়সী নারীরা এ কারণে অতিমাত্রায় বিষণ্নতায় ভুগেন

  • 0

বিষণ্নতা বলতে অনেকে কেবল মন খারাপকেই বোঝেন। তবে হুটহাট মন খারাপ হওয়া কিন্তু বিষণ্নতা নয়। মন খারাপ যদি দীর্ঘ সময় অর্থাৎ টানা দুই সপ্তাহ বা তারও বেশি সময় ধরে যদি চলে তাহলেই একে বিষণ্নতা বলা যায়। অর্থাৎ তখন এটি জটিল মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় রূপ নেয়।

বিষণ্নতার কারণ সম্পর্কে গবেষণা চলছে অনেক দিন ধরে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক নানা কারণে তৈরি হতে পারে বিষণ্নতার ঝুঁকি।

এবার সুইডেনের উপসালা ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব নারী জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল গ্রহণ করেন তাদের মধ্যে ১৩০ শতাংশ পর্যন্ত বিষণ্নতার ঝুঁকি বাড়তে পারে। এপিডেমিওলজি অ্যান্ড সাইকিয়াট্রিক সাইন্সে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাপত্রটি।

গবেষকেরা বলছেন, জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল ব্যবহারের দুই বছরের মধ্যে বিষণ্ন ঝুঁকি বাড়ার হার অনেক বেশি থাকে। গবেষণায় আরও উঠে এসেছে বয়স্ক নারীর তুলনায় কমবয়সী নারীরা এ কারণে অতিমাত্রায় বিষণ্নতায় ভুগেন। এমনকি অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে পিল খাওয়া বন্ধের পরেও বিষণ্নতার ঝুঁকি বাড়তে থাকে।

জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলের প্রভাবে নারীর শরীরে হরমোনে পরিবর্তন ঘটে। তরুণ বয়সে স্বাভাবিকভাবেই শরীরে হরমোনের পরিবর্তন হয়। আবার পিল গ্রহণের ফলেও এটি ঘটতে পারে। এই দুইয়ের সংমিশ্রণে অল্প বয়সী নারীরা বেশি মাত্রায় বিষণ্নতায় ভোগেন।

গবেষণায় বৃটেইনের বায়োব্যাংক ডেটাবেজ থেকে ২৫০ হাজার নারীর ডেটা ব্যবহার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৮০.৬ শতাংশ নারী জন্মনিয়ন্ত্রক পিল ব্যবহার করেছেন।

গবেষণায় নেতৃত্ব দেয়া উপসালা ইউনিভার্সিটির ইমিউনোলজি, জেনেটিক্স অ্যান্ড প্যাথলজি ডিপার্টমেন্টের পিএইচডি শিক্ষার্থী থেরেসি জোহানসন বলেন, জন্মনিয়ন্ত্রক পিল নারীদের অনেক সুবিধা দিলেও ব্যবহারকারীদের এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা রাখা উচিত।

তবে তিনি বলেন, যেসব নারী দীর্ঘ সময় ধরে এই পিল গ্রহণ করার পরেও বিষণ্নতার সমস্যায় পড়েননি, তাদের পিল খাওয়া বন্ধ করা উচিত নয়।


0 মন্তব্য

Do you like cookies? 🍪 We use cookies to ensure you get the best experience on our website. Learn more...