লস অ্যাঞ্জেলেসে বিক্ষোভের তৃতীয় দিনেও দফায় দফায় সংঘর্ষ

টিবিএন ডেস্ক

জুন ৯ ২০২৫, ২:৩৯

ছবি: রয়টার্স

ছবি: রয়টার্স

  • 0

প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতির আওতায়, গত শুক্রবার লস অ্যাঞ্জেলেস শহরের ওয়েস্টলেক ডিস্ট্রিক্টে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামেন আইস কর্মকর্তারা।

কিন্তু রুখে দাঁড়ায় এই এলাকার হাজারো বাসিন্দা, যাদের অনেকেই হিস্পানিক জনগোষ্ঠীর। বিক্ষোভাকারীরা একটি ফেডারেল ভবন ঘিরে ফেললে, পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে নামে ভারী অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত দাঙ্গা পুলিশ এবং আইস কর্মকর্তারা।

তবে টিয়ার গ্যাস, ফ্ল্যাশব্যাং, এবং রাবার বুলেট ছুঁড়েও দমানো যায়নি বিক্ষোভকারীদের। পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণে আনতে, লস অ্যাঞ্জেলেসে দুই হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

তিনশ ন্যাশনাল গার্ডের একটি দল রবিবার সকালে লস অ্যাঞ্জেলেসে এসে পৌঁছিয়েছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ ফেডারেল স্থাপনায় তাদের মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানায় এমএসএনবিসি। পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্যে, বর্ডার যার টম হোমান বলেন, প্রশাসনের কাজে বাধা দিলে, মেয়র ক্যারেন ব্যাস এবং ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসমকেও আটক করা হবে।

আইসের বিরুদ্ধে সহিংস বিক্ষোভের তৃতীয় দিনেও দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসে বিভিন্ন স্থানে। আইসকে সহায়তা করতে ন্যাশনাল গার্ডের পাশাপাশি, দরকার হলে মেরিন সেনা নামানো হবে বলে ইঙ্গিত করেছেন ডিফেন্স সেক্রেটারি পিট হেগসেথ।

স্পিকার মাইক জনসন বলেন, আইনের শাসন ফিরিয়ে আনতে যা করা প্রয়োজন, তাই করছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ফেডারেল আইনের বিরোধিতা করার এখতিয়ার গভর্নর নিউসমের নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শংকা জানিয়ে, ভারমন্টের ইন্ডিপেন্ডেন্ট সেনেটর বার্নি স্যান্ডার্স বলেন, ন্যাশনাল গার্ড চেয়ে ফেডারেল সরকারের কাছে গভর্নর নিওসম আবেদন জানাননি, তারপরও তাদের মোতায়েন করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দেশকে দ্রুত স্বৈরশাসনের পথে নিয়ে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন বার্নি।

তবে, চলমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ন্যাশনাল গার্ড নামানোর বিকল্প নেই মনে করেন ওকলাহোমার রিপাবলিকান সেনেটর জেমস ল্যাঙ্কফোর্ড। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই পদক্ষেপকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, বিক্ষোভের নামে লস অ্যাঞ্জেলেসে ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে দেওয়া হবে না।