সীমান্তবর্তী দেশ কানাডাকে নিয়ে কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন মিথ্যা দাবি করে আসছেন অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
ওয়াশিংটন ডিসিতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে মঙ্গলবারের বৈঠকের আগেও একই ধরনের দাবি করেছেন তিনি।
কানাডা নিয়ে ট্রাম্পের বড় ধরনের তিনটি মিথ্যা দাবি প্রকাশ করেছে সিএনএন।
১.কানাডার সামরিক ব্যয়
কানাডাকে অ্যামেরিকার ৫১তম অঙ্গরাজ্য বানানোর কথা বিভিন্ন সময়ে বলে আসা ট্রাম্প এনবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, বাস্তবিক দিক থেকে বিশ্বের যেকোনো দেশের তুলনায় সামরিক খাতে কম অর্থ ব্যয় করে কানাডা। দেশটি যেকোনো দেশের তুলনায় সামরিক জোট ন্যাটোকে কম অর্থ দেয়।
এ নিয়ে সিএনএনের ফ্যাক্টচেকে দেখা যায়, ন্যাটোর আনুষ্ঠানিক হিসাব অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ন্যাটোর সদস্য ৩১ দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ব্যয়ের দিক থেকে অষ্টম অবস্থানে ছিল কানাডা।
স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বরাত দিয়ে সিএনএন আরও জানায়, ২০২৪ সালে সংস্থাটির তালিকার ১৫০টি দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষায় ১৬তম সর্বোচ্চ ব্যয়কারী রাষ্ট্র ছিল কানাডা।
২. কানাডার সঙ্গে অ্যামেরিকার বাণিজ্য ঘাটতি
ট্রাম্পের দাবি, কানাডার সঙ্গে অ্যামেরিকার বার্ষিক বাণিজ্য ঘাটতি ২০০ বিলিয়ন ডলারের। এনবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারেও ট্রাম্প বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেন।
সিএনএনের ফ্যাক্টচেক অনুযায়ী, ট্রাম্পের এ দাবি সত্যের ধারেকাছেও নেই। আনুষ্ঠানিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে ২০২৪ সালে অ্যামেরিকার সঙ্গে কানাডার বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৩৫.৭ বিলিয়ন ডলারের।
৩. অ্যামেরিকা-কানাডা বাণিজ্যিক সম্পর্ক
দ্য আটলান্টিককে এপ্রিলের শেষের দিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, কানাডার ৯৫ শতাংশ ব্যবসা অ্যামেরিকার সঙ্গে।
সিএনএনের ফ্যাক্টচেক অনুযায়ী, বাণিজ্যিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অ্যামেরিকার ওপর কানাডার ব্যাপক নির্ভরশীলতার বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই, তবে বাণিজ্যের পরিমাণ নিয়ে ট্রাম্পের দাবিটি অতিরঞ্জিত।
কানাডার ফেডারেল পরিসংখ্যান সংস্থা ফেব্রুয়ারিতে জানায়, ২০২৪ সালে কানাডার মোট রপ্তানির ৭৫.৯ শতাংশের গন্তব্য ছিল অ্যামেরিকা। অন্যদিকে কানাডার মোট আমদানির ৬২.২ শতাংশের উৎস ছিল অ্যামেরিকা।