মুসলমানদের ঈদুল আজহা উৎসবের সময় এমন ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ইইউ বলেছে, ‘বিষয়টি কোনোভাবেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের চিন্তার প্রতিফলন নয়... ইউরোপে বর্ণবাদ, জেনোফোবিয়া এবং এ ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই।’
বিবৃতিতে ইইউ জানিয়েছে, তারা সবসময় ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে। সহিংসতা না ছড়িয়ে পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে সবাইকে একসঙ্গে পথ চলার আহ্বান জানায় ২৭ ইউরোপিয়ান দেশের জোট।
বেশ কয়েক বছর আগে ইরাক থেকে পালিয়ে সুইডেনে যান সালওয়ান মোমিকা। স্টকহোমের একটি মসজিদের সামনে গত বৃহস্পতিবার কোরআনের পৃষ্ঠা জ্বালানোর আগে কয়েকটি পৃষ্ঠা ছিঁড়ে ফেলেন তিনি।
‘বাক ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা’র অংশ হিসেবে পুলিশ তাকে এ প্রতিবাদের অনুমতি দেয়। তবে জাতিগত ঘৃণা ছড়ানোর দায়ে তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বিশ্বজুড়ে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ক্ষোভ জানাচ্ছেন। বাংলাদেশসহ মুসলিম ও আরব বিশ্ব ঘটনাটির কড়া নিন্দা করেছে। দেশগুলো সুইডিশ রাষ্ট্রদূতদের তলব করে ব্যাখ্যা চাওয়ার পাশাপাশি চরম আপত্তি প্রকাশ করেছে।
অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর পরিণতি নিয়ে আলোচনার জন্য নির্বাহী কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছে।
ইরাকের রাজধানী বাগদাদে শুক্রবার হাজার হাজার বিক্ষোভকারী স্টকহোমের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের দাবিতে সুইডিশ দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেন।