ইরানে ‘আগাম’ হামলা ইসরায়েলের

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ১৩ ২০২৫, ০:৩৫ হালনাগাদ: ডিসেম্বর ৭ ২০২৫, ১৯:৩৫

ইসরায়েলের একটি যুদ্ধবিমান। ছবি: ফ্লাই এ জেট ফাইটার

ইসরায়েলের একটি যুদ্ধবিমান। ছবি: ফ্লাই এ জেট ফাইটার

  • 0

এক বিবৃতিতে কাৎজ জানান, ইরানের ওপর আগাম হামলার পর ইসরায়েল রাষ্ট্র ও এর বেসামরিক জনগণের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা অত্যাসন্ন।

ইরানে `আগাম’ হামলা শুরু করার কথা শুক্রবার জানিয়েছে ইসরায়েল।

দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেছেন, দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছে তেল আবিব।

এক বিবৃতিতে কাৎজ জানান, ইরানের ওপর আগাম হামলার পর ইসরায়েল রাষ্ট্র ও এর বেসামরিক জনগণের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা অত্যাসন্ন।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আইআরএনএর বরাত দিয়ে সিএনএনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, তেহরানে মুহুর্মুহু বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

অ্যামেরিকার এক কর্মকর্তা সিএনএনকে জানান, ইরানের ওপর ইসরায়েলের হামলায় অ্যামেরিকার কোনো সংশ্লিষ্টতা বা সহায়তা নেই।

ইসরায়েলের এক কর্মকর্তার ভাষ্য, হামলার আগে বৃহস্পতিবার রাতে বৈঠকে বসে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা।

দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয় জানায়, পরবর্তী নোটিশের আগ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে ইসরায়েলের আকাশসীমা।

ইরানের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা নুর নিউজ জানায়, দেশটির রাজধানী তেহরানের উত্তরপূর্বাঞ্চলে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।

অভিযান সংশ্লিষ্ট নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা এক্সিওস জানায়, ইরানের ওপর ইসরায়েলের বিমান বাহিনীর হামলার খবর মিলেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অ্যামেরিকার দুই কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে ইরানে ইসরায়েলের হামলার কথা জানান।

ওয়াশিংটন হামলায় সহায়তা করেনি জানিয়ে এ দুই কর্মকর্তা বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি।

হামলার বিষয়টি শুরুতে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেনি ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী, তবে সামাাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে সেনাবাহিনী জানায়, ইসরায়েলের বেসামরিক ও জননিরাপত্তার নির্দেশনা বদলে ‘অত্যাবশ্যকীয় কর্মকাণ্ড’ করা হয়েছে।

এ নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে শিক্ষামূলক কর্মকাণ্ড, জমায়েত ও কর্মস্থল বন্ধ, তবে অত্যাবশ্যকীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্দেশনার বাইরে থাকবে।

ইসরায়েল সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, দেশটি ইরানের বেশ কিছু পারমাণবিক ও সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে।

ওই কর্মকর্তার দাবি, কয়েক দিনের মধ্যে ১৫টি পারমাণবিক বোমা তৈরির জন্য যথেষ্ট সরঞ্জাম মজুত রেখেছে ইরানে।