ইরান ইযরায়েলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে পারে বলে অ্যামেরিকা সতর্ক করার পরই এ আক্রমণ চালানো হলো। রয়টার্স জানিয়েছে, ইরান জর্ডানের আকাশসীমা ব্যবহার করে এ হামলা চালিয়েছে।
ইযরায়েলের হামলায় ইরানের একাধিক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা নিহত হওয়ায় ও তেহরানের মিত্র সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে হামলার জবাবে হামলা করেছে ইরান, এমনটা নিশ্চিত করেছে দেশটির বার্তা সংস্থা মেহের।
ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণের সময় নিরাপদ অবস্থানে সরে যেতে নাগরিকদের প্রতি সতর্কতামূলক বার্তা দিয়ে ইযরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, সবাইকে সাবধানে থাকতে হবে এবং ফ্রন্ট কমান্ডের নির্দেশনাবলী যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।
জোরুজালেম ও জর্ডান নদী উপত্যকায় সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে ওঠে ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এই সময় নিরাপত্তার জন্য ইযরায়েলিরা বম্ব শেল্টারগুলোতে আশ্রয় নেন। হামলার খবর সরাসরি সম্প্রচারের সময় ইযরায়েলি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের প্রতিবেদকেরা মাটিতে শুয়ে ছিলেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদকেরা বলেছেন, পার্শ্ববর্তী জর্ডানের আকাশসীমায় বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা হয়েছে। ইযরায়েলি বার্তা সংস্থাগুলোর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত প্রায় ১০০ টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে।
এর আগে আইডিএফ ইরান থেকে ব্যাপক আকারে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সতর্কতা জানিয়ে নাগরিকদেরকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়ার জন্য আহ্বান করেছিল। এর আগে লেবাননে নিজেদের মিত্র সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতা ইযরায়েলি হামলায় নিহত হওয়ার পর এর প্রতিশোধ নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ইরান।
ইরানের হামলা শেষ হয়েছে। আপাতত আর হামলার হুমকি না থাকায় নাগরিকদেরকে আশ্রয়স্থানগুলো থেকে বের হয়ে আসা যাবে বলে জানিয়েছে ইযরায়েল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে মধ্য ইযরায়েলে ইরানের মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অনেক ছবি ভেসে বেড়াচ্ছে। এর অনেকগুলো ভূপাতিত করা হলেও বেশ কয়েকটি লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে।
বিস্তারিত আসছে…।