বাইডেনকে সতর্ক করলেন চায়নার প্রেসিডেন্ট

টিবিএন ডেস্ক

এপ্রিল ২ ২০২৪, ১৮:৩১

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চাইনিজ প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ছবি: সংগৃহীত

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চাইনিজ প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ছবি: সংগৃহীত

  • 0

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চাইনিজ প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং নভেম্বরে বৈঠকের পর মঙ্গলবার প্রথম সরাসরি বৈঠক করেছেন। মে মাসে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের অভিষেকের আগে উত্তেজনা বাড়ানো থেকে বিরত রাখতে চাইছেন বাইডেন।

হোয়াইট হাউযের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাইওয়ান প্রণালীতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, আইনের শাসন ও সাউথ চায়না সিতে নৌ চলাচলের স্বাধীনতার ওপর জোর দিয়েছেন বাইডেন।

বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, শি বলেছেন, চায়না ও অ্যামেরিকার মধ্যে সম্পর্ক স্থিতিশীল হতে শুরু করেছে।

শি বাইডেনকে সতর্ক করে বলেছেন, চায়নার বাণিজ্য ও প্রযুক্তি উন্নয়ন দমন করে এবং নিষেধাজ্ঞার তালিকায় নতুন সংস্থাকে যুক্ত করে অ্যামেরিকা ঝুঁকি তৈরি করছে।

বাইডেন প্রশাসন জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে বিভিন্ন চাইনিজ সংস্থার কাছে নির্দিষ্ট কিছু প্রযুক্তি বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। চায়না ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক ইস্যুকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছে।

হোয়াইট হাউয জানিয়েছে, এক ঘণ্টা ৪৫ মিনিট ধরে চলা ওই ফোনালাপে বাইডেন বলেন, ‘বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অযথা সীমিত না করে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে উন্নত প্রযুক্তি যাতে ব্যবহার করা না হয় সেজন্য অ্যামেরিকা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া অব্যাহত রাখবে।’

বাইডেন ও শি নভেম্বরে সামরিক যোগাযোগ পুনরায় চালু করা এবং ফেন্টানিল উৎপাদন বন্ধে সহযোগিতা করতে সম্মত হন। ২০২২ সালের জুলাই মাস থেকে তাদের মধ্যে ফোনে কথা হয়নি। নভেম্বরের বৈঠকের পর বাইডেন সাংবাদিকদের বলেছেন, শি একজন স্বৈরশাসক। তিনি তার এই দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করেননি।

তাইওয়ানের বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট লাই চিংতেকে বেইজিং একজন বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে মনে করে। জানুয়ারিতে তিনি প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হন এবং মে মাসে তার অভিষেকের আগে বেইজিং তাইওয়ানের উপর চাপ বাড়িয়েছে।

হোয়াইট হাউয জানিয়েছে, বাইডেন ও শি জিনজিয়াংয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও কোরীয় উপদ্বীপের পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ, ইউক্রেইনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধে চায়নার সমর্থনের বিষয়ে উদ্বেগ নিয়েও আলোচনা করেছেন।

অ্যামেরিকান প্রেসিডেন্ট সাউথ চায়না সিতে ক্রমবর্ধমান সংঘাতের বিষয়েও বেইজিংকে সতর্ক করেছিলেন। ওই অঞ্চলটি চায়না প্রায় সম্পূর্ণরূপে নিজেদের বলে দাবি করে যা আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন