গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনার পতনের আগ মুহূর্তে নিয়োগ পাওয়া ৮০৩ জন এসআই ও ৬৭ জন এসপির নিয়োগ বাতিলের দাবি করে বিএনপি । তারা এই ব্যাচটিকে বাদ দিতে বলেছিল কিনা সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ওই ব্যাচে মোট ৮০৪ জন এসআই পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন। এর আগে তাদের তিনজনকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছিল। এখন সব মিলিয়ে অব্যাহতি পেলেন মোট ২৫৫ জন।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন কাকে কোন কারণের জন্য অব্যাহতি দেয়া হয়েছে সেটা নির্দিষ্ট করে বলতে পারবে অ্যাকাডেমি। এ সময় তিনি আরও বলেন সেনাবাহিনীতে পাসিং আউটের একদিন আগেও অব্যাহতি দেয়ার নজির রয়েছে।
শূন্য পদগুলোতে কীভাবে নিয়োগ দেয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান নতুন প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির অধীনে এসআই নিয়োগ দেয়া হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদেরকে নিয়োগের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান উপদেষ্টা।
পুলিশের এর কর্মকর্তা স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমকে জানান বর্তমানে সারদায় প্রশিক্ষণরত ব্যাচগুলোর বিষয়ে অনেক কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। অব্যাহতি পাওয়া ব্যক্তিদের ব্যাচের মধ্যে জেলাওয়ারি হিসেবে সর্বোচ্চ ৪৯ জন গোপালগঞ্জ জেলা থেকে নিয়োগ পেয়েছিলেন।
এসআইরা ছাত্রজীবনে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে এমন সিদ্ধান্তের শিকার হলেন কিনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন অ্যাকাডেমি শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে তাদেরকে অব্যাহতি দিয়েছে। এর পেছনে কোন রাজনৈতিক কারণ নেই।
এদিকে, বিশ্ব ইজতেমা কবে অনুষ্ঠিত হতে পারে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা জানান ইজতেমা শুরু হওয়ার তারিখ নিয়ে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি। এটি জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারি মাসে আয়োজনের সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরও বলেন বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মহলে আলোচনা হয়েছে।