ইরাক থেকে সুইডিশ অ্যাম্বাসেডর জেসিকা এসভার্ডস্ট্রমকে বহিষ্কার করেছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মেদ শিয়া আল সুদানি। স্টকহোমে এক ব্যক্তির কোরআন অবমাননার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সুইডেনে ইরাকের চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্সকেও প্রত্যাহার করেছেন তিনি।
সুইডেনে কোরআনের কপি পোড়ানোর ক্ষুব্ধ ইরাকি জনতা বৃহস্পতিবার ভোরে মধ্য বাগদাদে সুইডিশ দূতাবাসে হামলা চালায়। তারা দূতাবাসের দেয়াল টপকে কম্পাউন্ডে প্রবেশ করে ভেতরে আগুন লাগিয়ে দেয়। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইরাক থেকে সুইডিশ অ্যাম্বাসেডরকে বহিষ্কার করা হলো।
সুইডিশ দূতাবাস জানিয়েছে, হামলার কারণে অতিথিদের জন্য ইরাকের সুইডিশ দূতাবাস বন্ধ রাখা হয়েছে।
ইরাকের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, বৃহস্পতিবার দেশটির জনতার ক্ষোভের মুখে ইরাকের মাটিতে সুইডিশ টেলিকম কোম্পানি এরিকসনের ওয়ার্কিং পারমিট স্থগিত করেছে ইরাকি সরকার।
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী শিয়া আল-সুদানি বলেছেন, দূতাবাসে হামলাকারী ইরাকিদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে। ঘটনার তদন্তে ‘নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের অবহেলা’ প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদেরও বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
দূতাবাসে হামলাকারীদের হাতে প্রভাবশালী ইরাকি শিয়া ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতা মুকতাদা আল-সদরের ছবি সংবলিত পতাকা দেখা গেছে।
স্টকহোমে ইরাকি দূতাবাসের সামনে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফায় কোরআন অবমাননার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার আগেই সদরের অনুসারীরা সুইডিশ দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভের ঘোষণা দেয়।
সুইডিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রেস অফিস এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, বাগদাদে তাদের দূতাবাসের সব কর্মীরা নিরাপদে আছেন।
এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সুইডিশ মন্ত্রণালয় ইরাকি কর্তৃপক্ষের কাছে কূটনৈতিক মিশন রক্ষার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে।
ইরাকের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও নিজ দেশে এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছে।