টানা তৃতীয় বড় আসরের শিরোপা জয়ে আগামী রোববার মিয়ামিতে ফাইনালে মাঠে নামবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ১৫ বারের কোপা চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা বুধবার মেটলাইফ স্টেডিয়ামে সাড়ে ৮২ হাজার সমর্থকের সামনে টুর্নামেন্টের সেরা পারফরমেন্স দেখিয়েছে।

ম্যাচ শেষে ৩৭ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন অধিনায়ক মেসি বলেছেন, ‘সত্যি বলতে কি এই দলটি যা করে দেখাচ্ছে তা অবিশ্বাস্য। পুরো দলই এই জয়ের কৃতিত্বে দাবিদার। আরও একবার ফাইনালে খেলা মোটেই সহজ কাজ নয়। আরো একবার আমরা চ্যাম্পিয়ন হবার জন্য লড়াইয়ে নামবো। শেষ কোপা আমেরিকা, শেষ বিশ্বকাপের মতই আরো একবার সেই একই অনুভূতি উপস্থিত হয়েছে। এটাই আমার ওদের সঙ্গে শেষ লড়াই এবং আমি পরিপূর্ণ ভাবে প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করতে চাই।’

কোপা আমেরিকায় প্রথমবার খেলতে এসেই শেষ চারে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ক্যানাডা সবাইকে হতবাক করে দিয়েছে। ক্যানাডার অ্যামেরিকান কোচ জেসে মার্শ বলেছেন, ‘আমি মনে করি এই টুর্নামেন্ট আমাদের একধাপ সামনে এগিয়ে নিয়ে গেছে। আজ আমরা যেভাবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে লড়াই করেছি তা সত্যিই প্রশংসনীয়। ফিটনেসের দিক থেকেও আমরা মাঝে মাঝে তাদেরকে ছাড়িয়ে গেছি।’

আরও পড়ুন: ফ্রান্সকে হারিয়ে ১২ বছর পর ইউরোর ফাইনালে স্পেন

ম্যাচের শুরুতে প্রথম সুযোগ পেয়েছিল ক্যানাডা। লেফট-উইঙ্গার জ্যাকব শাফেলবার্গের শট পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়। এরপর দক্ষিণ আমেরিকান জায়ান্টরা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের করে নেয় এবং এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

২২ মিনিটে রদরিগো দে পল যে সুযোগ তৈরি করেছিলেন তা বৃথা যায়নি। প্রায় মধ্যমাঠ থেকে বল নিয়ে দ্রুত তা বাড়িয়ে দেন আলভারেসের দিকে। প্রথম সুযোগে আলভারেস বল জালে জড়ালে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা।

দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর ছয় মিনিটের মধ্যে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা ব্যবধার দ্বিগুণ করে। দে পল কিছুটা পিছন দিকে এনসো ফার্নান্দেসের কাছে বল বাড়িয়ে দেন। তার শটে পোস্টের সামনে থেকে মেসি পা লাগিয়ে বল জালে জড়ান।

দুই গোলে এগিয়ে থেকে লিওনেল স্কালোনির দল সহজ জয়ে ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করে। রেকর্ড ১৬তম কোপা আমেরিকা শিরোপা জয়ে আর মাত্র এক ম্যাচ দুরে রয়েছে আর্জেন্টিনা।