ইউন জং হোর নেতৃত্বে পিয়ংইয়ংয়ের প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার ইরান সফরে গেছে বলে বুধবার জানিয়েছে দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি। বার্তা সংস্থাটি তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত আর কিছু জানায়নি।
এদিকে প্রতিনিধি দলের সফরকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে পশ্চিমা বিশ্বে।
পিয়ংইয়ং ও তেহরান স্বল্প কয়েকটি পক্ষের অন্যতম যারা ইউক্রেইনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আক্রমণকে সমর্থন করে। উভয় দেশের বিরুদ্ধে রাশিয়াকে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করার অভিযোগ রয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেইন যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে বিপুল পরিমাণ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে ইরান।
নর্থ কোরিয়াও রাশিয়াকে ক্ষেপণাস্ত্র ও আর্টিলারি সরবরাহ করেছে এমন সন্দেহ করা হয়। উভয় দেশ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়া দাবি করেছে, নর্থ কোরিয়া ইউক্রেইনে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে প্রায় সাত হাজার কন্টেইনার অস্ত্র পাঠিয়েছে।
নর্থ কোরিয়ার শুরু করা গোয়েন্দা স্যাটেলাইট কর্মসূচিতে মস্কোর কারিগরী সহায়তার বিনিময়ে এই কন্টেইনার সরবরাহ করা হয়েছে বলে সিউল মনে করছে।
ইযরায়েলি ভূখণ্ডে ইরান প্রথমবারের মতো সরাসরি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর নর্থ কোরিয়া এ সফর করছে।
এদিকে কোরিয়া ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল ইউনিফিকেশনের সিনিয়র অ্যানালিস্ট হং মিন বলেন, ‘সফরটি এই আভাস দিচ্ছে যে, নর্থ কোরিয়া তেহরানের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করতে আগ্রহী। সম্ভবত অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে দেশটি সম্পর্ক আরও গভীর করতে চায়। ইযরায়েলের সঙ্গে সংঘর্ঘের প্রেক্ষিতে ইরানের আরও অস্ত্র প্রয়োজন হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তেহরান ও জেরুজালেমের চলমান পরিস্থিতির কারণে সফরটি আরও মনোযোগের দাবি রাখে।’
তিনি বলেন, ‘পিয়ংইয়ং যেভাবে মস্কোকে অস্ত্র সরবরাহ করেছে, তেমনি তেহরান তেল ও আর্থিক সহায়তা দিলে বিনিময়ে তেহরানের জন্যও তা করতে পারে।’