প্রেসিডেন্ট বাছাইয়ে দ্বিতীয় দফার ভোটে যাচ্ছে তুর্কিয়ে

টিবিএন ডেস্ক

মে ১৫ ২০২৩, ২১:২০

রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়াঁ (বাঁয়ে) ও কেমাল কিলিচদারোলু। ছবি: আল-জাজিরা

রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়াঁ (বাঁয়ে) ও কেমাল কিলিচদারোলু। ছবি: আল-জাজিরা

  • 0

তুর্কিয়ের প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়াঁ নূন্যতম ৫০ ভাগ ভোট পেতে ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় এই নির্বাচন গড়াচ্ছে দ্বিতীয় দফার ভোটে।

চলতি মাসের ২৮ তারিখ হবে দ্বিতীয় দফার ভোট। 

তুর্কিয়ের সরকারি বার্তা সংস্থা আনাদুলু জানিয়েছে, প্রথম দফার নির্বাচনে এরদোয়াঁ পেয়েছেন ৪৯.৫০ শতাংশ ভোট। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কিলিচদারোলু পেয়েছেন ৪৪.৮৯ শতাংশ ভোট। 

নির্বাচনের আরেক প্রার্থী সিনান ওগ্যান ৫.২৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।

একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় এ দফার ভোটে কারও জন্যই প্রেসিডেন্ট পদটি উন্মুক্ত হয়নি।

প্রাথমিক ভোট গণনায় অবশ্য বড় ব্যবধানে এগিয়েছিলেন এরদোয়াঁ। তবে গণনার চূড়ান্ত ফল আসার পরই ইস্তাম্বুলে তার জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একে পার্টি) হেড কোয়ার্টারে সমর্থকেরা বিষণ্ন হয়ে পড়েন। 

বার্তাসংস্থা আনাদুলুর বিশ্লেষণ বলছে, দ্বিতীয় পর্বের ভোটে কিংমেকার হতে পারেন সিনান ওগ্যান। 

এক টুইট বার্তায় ওগ্যান জানিয়েছেন, দ্বিতীয় দফার ভোটে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে তুর্কিয়ে জাতীয়তাবাদী ও আতাতুর্কিবাদীরা।

অন্যদিকে, এরদোয়াঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কিলিচদারোলু দ্বিতীয় দফার ভোটকে স্বাগত জানিয়েছেন । তিনি বলেন, ‘আমাদের জাতি দ্বিতীয় দফায় ভোটের কথা বলেছে, আমরা সানন্দে তা গ্রহণ করেছি। দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে আমরাই জিতব। সবাই আমাদের বিজয় দেখতে পাবে।’

তুর্কিয়েতে গত ৬ ফেব্রুয়ারির বিধ্বংসী ভূমিকম্পের প্রভাবে অর্থনৈতিক মন্দায় কঠোর সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট এরদোয়াঁ। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, রোববারের প্রথম দফার ভোটে এটিই তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।   

তুর্কিয়েতে এই প্রথম বিভিন্ন বিরোধী দল প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে একক প্রার্থী কিলিচদারোলুর পেছনে একাট্টা হয়েছে। 

ভোটের আগে বিশ্লেষকেরা অনুমান করেছিলেন, হেরে গেলেও এরদোয়াঁ সহজে ক্ষমতা ছাড়বেন না। এমনকি কিলিচদারোলু কিছু অংশে এগিয়ে গেলেও সবশেষে বিজয়ী হবেন এরদোয়াঁ। 

ভোট গণনার আগে এরদোয়াঁ জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাস জানান। আঙ্কারায় ক্ষমতাসীন একে পার্টির হেড কোয়ার্টারে সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, ৫০ শতাংশ ভোট পেয়েই আমরা নির্বাচনের প্রথম দফায় জয়ী হব।’

তুর্কিয়ের পার্লামেন্ট নির্বাচনের ফলাফলের ওপর নেইটোর বন্ধুরাষ্ট্র ও আঞ্চলিক শক্তির শীর্ষ দেশগুলোর ভাগ্য অনেকাংশেই নির্ভর করবে। ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসনে বিশ্বের অনেক দেশই অনিশ্চয়তায় ভুগছে। 

এই নির্বাচনের মেক-অর-ব্রেক ভোটের ফলাফল আন্তর্জাতিকভাবে বিশেষ করে মস্কো এবং ইউরোপ ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। 

তুর্কিয়ে নেইটো জোটের অন্যতম সদস্য। নেইটো জোটের মধ্যে সামরিক শক্তির অবস্থানে তুর্কিয়ের অবস্থান দ্বিতীয়। সাম্প্রতিক সময়ে অ্যামেরিকাকে অস্বীকার করে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করেছে এরদোয়াঁর সরকার।


0 মন্তব্য

Do you like cookies? 🍪 We use cookies to ensure you get the best experience on our website. Learn more...