দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে রাশিয়ার বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকীর সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নিতে বুধবার মস্কোতে পৌঁছান চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
প্রেসিডেন্ট শিকে বৃহস্পতিবার ক্রেমলিনে স্বাগত জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, চীনের সঙ্গে তার দেশের ঐতিহাসিক সমৃদ্ধ সম্পর্ক এখন ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। বৈশ্বিক বহুপাক্ষিক বাণিজ্য রক্ষায় এবং শিল্প ও সরবরাহ ব্যবস্থা স্থিতিশীল রাখতে রাশিয়ার সঙ্গে একযোগে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের একটি অনুষ্ঠানে এই কৌশলগত বাণিজ্যিক অংশীদারত্ব চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন দুই নেতা।
অ্যামেরিকার সঙ্গে চলমান বাণিজ্যিক টানাপোড়েনের মধ্যে রাশিয়ার সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারত্ব আরও গভীর করার লক্ষ্যে বাণিজ্যিক চুক্তি করেছে চীন। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভিতে প্রদর্শিত একটি অনুষ্ঠানে এই কৌশলগত অংশীদারত্ব চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
চীন বর্তমানে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মোকাবিলায় রাশিয়াকে অর্থনৈতিকভাবে একটি শক্তিশালী অবস্থান গড়ে দিয়েছে চীন।
রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের সবচেয়ে বড় ক্রেতা পূর্ব এশিয়ার দেশটি।
রাশিয়ার ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, দুই নেতা মস্কোতে তাদের আলোচনার সময় শক্তি ও তেল নিয়েও আলোচনা করেন।
পরে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন জানান, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ এই চুক্তির ফলে পরস্পরের মধ্যে বিনিয়োগের পরিমাণ আরও বাড়বে।
তিনি বলেন, ‘চীনের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক ঐতিহাসিক এবং এ সম্পর্ক বিকাশ ও শক্তিশালীকরণের একটি নির্ভরযোগ্য ভিত্তি। এই সম্পর্ক এখন ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছৈছে।’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, চীনের সঙ্গে স্বয়ংসম্পূর্ণ সম্পর্ক কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি বা বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের ওপর নির্ভর করে না।
পুতিন বলেন, ‘বাস্তবতা হলো চীন ও রাশিয়ার মধ্যে স্থিতিশীল পারস্পরিক একটি বাণিজ্যিক ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে, যা তৃতীয় দেশের প্রভাব ও বৈশ্বিক বাজারের নেতিবাচক প্রবণতা থেকে নির্ভরযোগ্যভাবে সুরক্ষিত।’
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জানান, বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থা রক্ষায় এবং শিল্প ও সরবরাহ ব্যবস্থা স্থিতিশীল রাখতে রাশিয়ার সঙ্গে একযোগে কাজ করতে প্রস্তুত তার দেশ।