রাশিয়ার উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী দুর্নীতির দায়ে আটক
টিবিএন ডেস্ক
এপ্রিল ২৪ ২০২৪, ১৬:৩৬
- 0
ঘুষ নেয়ার সন্দেহে রাশিয়ার উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী তৈমুর ইভানভকে আটক করে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির একটি আদালত।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, মস্কোর বাসমানি ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট ইভানভকে বুধবার ২৩ জুন পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়।
৪৮ বছর বয়সী তৈমুর ইভানভকে মঙ্গলবার কর্মস্থল থেকে আটক করা হয় বলে নিশ্চিত করেছে রাশিয়ান ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি)।
বুধবার কোর্ট বলেছে, ‘তদন্তে দেখা গেছে যে ইভানভ একটি সংগঠিত গোষ্ঠীর পরিকল্পিত অপরাধের ষড়যন্ত্রে তাদের সঙ্গে আগেভাগে জোট করেন।’
এ সময় কোর্ট ষড়যন্ত্রের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেছে, ‘প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য চুক্তি এবং সাব-কন্ট্রাক্ট কাজের জন্য বিশেষ করে বড় আকারে সম্পত্তি এবং সেবা ঘুষ হিসেবে গ্রহণ করা।’
কোর্ট সার্ভিসের প্রকাশিত ফুটেজে দেখা গেছে, ইভানভ তার ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় আদালতের কাঁচের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আছেন।
রাশিয়ান মিডিয়া বলছে, ইভানভ নিজের দোষ অস্বীকার করেছেন এবং দোষী সাব্যস্ত হলে তার ১৫ বছরের জেল হবে।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম মামলাটির পুরো কভারেজ দিয়েছে।
ইভানভ ২০১৬ সাল থেকে উপমন্ত্রী হিসেবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা, আবাসন, নির্মাণ এবং বন্ধকের দায়িত্ব পালন করেছেন, যার ব্যয় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বেড়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি রাশিয়ান আইন প্রয়োগকারী সূত্র রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ‘তাস’-কে জানিয়েছে, ইভানভের বিরুদ্ধে তদন্ত গতকাল, পরশু বা এমনকি এক মাস আগে থেকে শুরু হয়নি এবং তদন্তে এফএসবি জড়িত ছিল।
ফোর্বস ম্যাগাজিন ইভানভকে রাশিয়ার নিরাপত্তা কাঠামোর অন্যতম ধনী ব্যক্তি হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছে।
২০২২ সালে রাশিয়ার ‘প্রয়াত’ বিরোধী নেতা আলেক্সি নাভালনির নেতৃত্বে রাশিয়ার দুর্নীতিবিরোধী ফাউন্ডেশন ইভানভকে তদন্ত করেছিল।
এতে অভিযোগ করা হয়েছে, ইভানভ এবং তার পরিবার ইয়ট, হেলিকপ্টার, ফ্রেঞ্চ রিভেরা ভ্রমণ, হীরা কেনাসহ এমনকি মস্কোর সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন রাস্তায় ১৯ শতকের একটি প্রাসাদসহ বিলাসবহুল জীবনযাপন করছেন।
প্রেসিডেন্ট পুতিন ২০২২ সালে ইউক্রেইনে সেনা পাঠানোর পর থেকে এটিই দেশটির সর্বোচ্চ কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা।
ক্রেমলিন বলছে, পুতিনকে ইভানভের বিষয়ে জানানো হয়েছে এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী শোইগুকেও বলা হয়েছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।