ব্রাজিলের ফরেন মিনিস্ট্রি সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছে, এ চুক্তিটি অর্থনৈতিকভাবে টেকসই প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রের জন্য একটি শক্তিশালী অবদান যা দেশটিকে তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।
ল্যাটিন অ্যামেরিকার চারটি দেশ ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা উরুগুয়ে ও প্যারাগুয়ের মধ্যে আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত জোট মেরকোসুর আওতায় অবাধ বাণিজ্যের জন্য ব্রাজিল প্যালেস্টাইন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তিটি অনুমোদন করেছে যা ২০১১ সালে স্বাক্ষরিত হয়।
ব্রাসিলিয়ায় প্যালেস্টাইনের রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম আল জেবেন ব্রাজিলের এই সিদ্ধান্তকে ‘সাহসী, সহায়ক ও সময়োপযোগী হিসেবে অভিহিত করেছেন।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে পাঠানো এক বার্তায় জেবেন বলেছেন, এ সিদ্ধান্ত প্যালেস্টাইনের শান্তি প্রতিষ্ঠা সমর্থনে একটি কার্যকর উপায়।
রাষ্ট্রদূত বলেছেন, তিনি আশা করছেন মেরকোসুরের সঙ্গে প্যালেস্টাইনের বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে মেরকোসুরের সঙ্গে বছরে প্যালেস্টাইনের মাত্র ৩২ মিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইরানের ইযরায়েল বিরোধী অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করলেন পেজেশকিয়ান
অন্য মেরকোসুর সদস্যরা ব্রাজিলের এই পদক্ষেপ অনুসরণ করবে কিনা তা স্পষ্ট নয়। প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মাইলির নেতৃত্বে আর্জেন্টিনার ডানপন্থি সরকারের প্যালেস্টাইনকে সমর্থন করার সম্ভাবনা তেমন একটা নেই।
অন্যদিকে উরুগুয়ে ও প্যারাগুয়ের ফরেন মিনিস্ট্রি তাৎক্ষণিকভাবে এই বিষয়ে মন্তব্যের জন্য সাড়া দেয়নি।
ব্রাজিল প্যালেস্টাইনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ২০১০ সালে স্বীকৃতি দেয় এবং ব্রাজিলের রাজধানীতে প্যালেস্টেনিয়ান দূতাবাস নির্মাণের অনুমতি দেয়।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাসিও লুলা দা সিলভা মে মাসে অবরুদ্ধ গাজায় গণহত্যামূলক যুদ্ধের জন্য ইযরায়েলে দেশটির রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে নেন।
ব্রাজিল সহ ল্যাটিন আমেরিকার অনেক দেশ ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিসে ইযরায়েলের বিরুদ্ধে সাউথ আফ্রিকার গণহত্যা মামলাকে সমর্থন দিয়েছে।