বিপুল ভোটে হাউয থেকে সেনেটে ঋণসীমার বিল

মেহরিন জাহান, টিবিএন ডেস্ক

জুন ১ ২০২৩, ৯:৪৯

হাউয ফ্লোরে ঋণসীমার নতুন বিল পাসের পর স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির স্বস্তি। ছবি: সংগৃহীত

হাউয ফ্লোরে ঋণসীমার নতুন বিল পাসের পর স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির স্বস্তি। ছবি: সংগৃহীত

  • 0

অ্যামেরিকাকে ঋণখেলাপি হওয়া থেকে রক্ষা করতে বিপুল ভোটে ঋণসীমার নতুন চুক্তির বিল পাস করল হাউয অফ রিপ্রেজেন্টিটিভ। এখন সেনেটের ভোটে পার পেয়ে গেলেই দেশের সম্ভাব্য অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঠেকাতে পারবে বাইডেন প্রশাসন।

কট্টর ডানপন্থি রিপাবলিকানদের কঠোর বিরোধিতার পরও লাল শিবিরের ১৪৯ আইনপ্রণেতা এই ‘ফিসক্যাল রেস্পন্সিবিলিটি অ্যাক্টের’ পক্ষে বুধবার রাতে হাউয ফ্লোরে ভোট দিয়েছেন। সঙ্গে যোগ হয় ১৬৫ ডেমোক্র্যাট ভোট। সব মিলিয়ে ৩১৪-১১৭ ভোটে হাউয থেকে সেনেটে গড়ালো প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির এই সমঝোতা চুক্তির বিল।

সেনেট থেকে দ্রুতই বিল পাস হয়ে পৌঁছাতে হবে প্রেসিডেন্টের টেবিলে। তাতে সই দিয়ে বিলকে আইনে পরিণত করলেই হয়ে যাবে কার্যকর। তবে এই প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে ৫ জুনের আগে। সেদিনই ঋণ শোধের শেষ দিন বলে এর আগে সতর্ক করেছিলেন ট্রেযারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন।

দেশটি এখন ৩১.৪ ট্রিলিয়ন ঋণে আছে। সেটি শোধ করার সময়সীমা আগে ছিল ১ জুন। তবে ঋণসীমা বাড়ানো নিয়ে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানরা সমঝোতায় পৌঁছাতে পারছিল না। পরিস্থিতি বিবেচনায় সময়সীমা চার দিন বাড়িয়ে দেন ট্রেযারি সেক্রেটারি।

এরপর গত ২৮ মে সমঝোতা চুক্তি করেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও স্পিকার ম্যাকার্থি। সেটি ৯৯ পৃষ্ঠার বিল আকারে মঙ্গলবার হাউয কমিটিতে ৭-৬ ভোটে অনুমোদিত হয়ে পৌঁছায় হাউয ফ্লোরে। 

হাউয কমিটিতে এই বিল নিয়ে বেশ উত্তেজনা ছড়ায়। কট্টর রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা জোরেশোরে এটির বিরোধিতা করেন। স্পিকার ম্যাকার্থির ওপর তাদের অসন্তোষ প্রকাশ্যে আসে। এমনকি বিল পাস হলে তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার হুমকিও আসে।

নিজ দলের এই বিভক্তিতে বিপাকেই পড়েছিলেন ম্যাকার্থি। তার ওপর ছিল রিপাবলিকানদের ভোট জোগাড়ের চাপ। অন্যদিকে কিছু ডেমোক্র্যাটদের আপত্তি থাকলেও বেশিরভাগই বিলের পক্ষে অবস্থান নেয়ায় বাইডেন অনেকটাই নিশ্চিত ছিলেন।

বিল হাউযে পাসের পর ম্যাকার্থিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেন প্রেসিডেন্ট। বলেন, ‘ম্যাকার্থি ও তার দলকে ধন্যবাদ যে তারা আস্থা রেখে সমঝোতা করেছেন।' 

বাইডেন বলেন, 'এই বাজেট চুক্তি হলো দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা। কোনো পক্ষই যা চেয়েছিল তার পুরোটা পায়নি। এই সমঝোতা করাই হলো নেতৃত্ব পরিচালনার দায়িত্ব।’

ভোট শেষে হাউয থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের স্পিকার বলেন, ‘আমি তো জানি ঋণসীমার দিন ফুরিয়ে আসছে। আমি ইতিহাস রচনা করতে চেয়েছিলাম। আমি এমন কিছু করতে চেয়েছিলাম যা কোনো কংগ্রেস এর আগে করেনি। আমি খরচের গতিপথই বদলে দিতে চেয়েছি। এই প্রথম আমরা রাষ্ট্রীয় খরচ বিগত বছরের তুলনায় কমাতে যাচ্ছি। আজ রাতে আমরা সবাই মিলে ইতিহাস গড়লাম।’

তিনি বলেন, ‘বিলে আমরা যা চেয়েছিলাম তার সবই আছে? না নেই। আমার মনে হয় অ্যামেরিকার জনগণের ভালোর জন্য যা করার আমি তাই করেছি।’


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন