ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধারে তৎপরতা চালাচ্ছে রাজ্যের জাতীয় দুর্যোগ ও ত্রাণ দলগুলো। তাদেরকে সহায়তা করছে অনেক স্থানীয় বাসিন্দা।
এয়ারলিফটিংয়ের মাধ্যমে আটকে পরা পরিবারগুলোকে উদ্ধারের জন্য সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী।
ওয়েওয়ানাদের পাহাড়ি গ্রাম এবং চা ও এলাচ বাগান থেকে প্রায় এক হাজার মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং ২২৫ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বলে বুধবার জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে রয়টার্স, অন্তত ১৬৬ জন নিহত ও ১৯৫ জন আহত হওয়ার কথা জানিয়েছে।
স্থানীয় এশিয়ানেট নিউজ টিভি চ্যানেল নিহতের সংখ্যা ১৭৯ বলে জানিয়েছে।
২০১৮ সালের ভয়াবহ বন্যার পর এটিই ছিল রাজ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বিপর্যয়। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গত দুই সপ্তাহ ধরে এই অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছিল যার ফলে মাটি নরম হয়ে গিয়েছিল এবং সোমবার অত্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ভূমিধস শুরু হয়।
ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, মুন্ডাক্কাই-এর সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা চুরালমালা শহরের সঙ্গে সংযোগকারী প্রধান সেতুটি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর তারা এক হাজার মানুষকে উদ্ধার করেছে এবং বিকল্প সেতু নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
হামসা টি এ নামের এক দমকল কর্মী ধ্বংসস্তূপের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত যে এখানে একাধিক মৃতদেহ রয়েছে। এখানে অনেক বাড়ি ছিল, ভেতরে থাকা লোকজন নিখোঁজ রয়েছেন।’
রাজ্য পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা এম আর অজিত কুমার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘ভূমিধসের বেশিরভাগই পাহাড়ের উঁচু ঢালে হয়েছে, যা পরে নিচের উপত্যকায় গিয়ে পড়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে লক্ষ্য হচ্ছে পুরো চড়াই-উতরাই এলাকায় আটকে পড়া লোকজনের খোঁজে তল্লাশি চালানো এবং যত বেশি সম্ভব মৃতদেহ উদ্ধার করা।’