বার্তা সংস্থা এপির বরাতে এনবিসি নিউজ জানায়, যাত্রীবাহী বাসটি ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য বিহার থেকে রাজধানী নয়াদিল্লি যাওয়ার পথে উত্তর প্রদেশ রাজ্যের একটি এক্সপ্রেসওয়েতে দুধের ট্রাককে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা অরবিন্দ কুমার।
পুলিশ কর্মকর্তা অরবিন্দ কুমার বলেছেন, দুর্ঘটনার পর স্থানীয় গ্রামবাসীরা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান এবং বর্তমানে আহতদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে।
তিনি বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ হতাহতদের সনাক্ত করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে এবং দুর্ঘটনার সঠিক কারণ নির্ধারণের জন্য একটি তদন্ত শুরু করা হয়েছে।’
প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া তথ্যের ব্যাখ্যা দিয়ে স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা গৌরাঙ্গ রাঠি বলেছেন, বাসটি দ্রুতগতিতে চলার সময় দুধের ট্রাককে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়, যার ফলে দুটি গাড়িই উল্টে যায়। সংঘর্ষটি এতটাই তীব্র ছিল যে বাসের একপাশ পুরোটাই ধসে যায় এবং যাত্রীরা গাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তায় পড়ে যান।
স্থানীয় টেলিভিশনে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, বাস থেকে ছিটকে পড়া যাত্রীদের মরদেহ রাস্তার ওপরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে।
ভারতে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যান, যেখানে বছরে কয়েক মিলিয়ন মানুষ নিহত ও আহত হয়।
বেশিরভাগ দুর্ঘটনার জন্য বেপরোয়া ড্রাইভিং, খারাপ রাস্তা এবং পুরনো যানবাহনকে দায়ী করা হয়।
গত মে মাসে হিন্দু তীর্থযাত্রীদের বহনকারী একটি বাস ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের একটি পাহাড়ি মহাসড়ক থেকে ছিটকে গভীর খাদে পড়ে গেলে অন্তত ২১ জন নিহত হয়।