অস্ট্রেলিয়ায় ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নে স্কুল প্রিন্সিপাল দোষী সাব্যস্ত

টিবিএন ডেস্ক

এপ্রিল ৩ ২০২৩, ২২:৪৪

অস্ট্রেলিয়ায় ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নে স্কুল প্রিন্সিপাল দোষী সাব্যস্ত
  • 0

অস্ট্রেলিয়ার একটি অর্থোডক্স ইহুদি স্কুলের সাবেক প্রিন্সিপাল মালকা লিফারকে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির দায়ে সোমবার দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। শিগগিরই তার বিরুদ্ধে দণ্ড ঘোষণা করবেন বিচারক।

মেলবোর্নের অ্যাডাস ইজরায়েল স্কুলের প্রিন্সিপালের দায়িত্বে থাকার সময় ২০০৮ সালে তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো প্রকাশ পায়। এরপর তিনি ইজরায়েলি-অস্ট্রেলিয়ান দ্বৈত নাগরিকত্বের সুযোগ নিয়ে ইজরায়েলে পালিয়ে যান। তবে ২০২১ সালে তাকে অস্ট্রেলিয়ায় ফিরিয়ে এনে শুরু হয় বিচার। 

এক ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং স্কুল ক্যাম্প চলার সময় এক ছাত্রকে যৌন নিপীড়ন করাসহ ১৮টি অভিযোগে লিফারকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। আরও ৯টি অভিযোগ থাকলেও সেগুলো থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। 

লিফারের এক ছাত্রী ২০০৮ সালে তার থেরাপিস্টের কাছে যৌন হয়রানির বিষয়টি জানানোর পর স্কুল প্রিন্সিপালের অপরাধ প্রকাশ পেতে শুরু করে। এরপর তিনি পালিয়ে ইজরায়েলে ইমানুয়েল শহরে বসবাস শুরু করেন।

লিফারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের ২ বছর পর অস্ট্রেলিয়ান পুলিশ ২০১২ সালে তাকে ফিরিয়ে দিতে ইজরায়েলকে অনুরোধ করে। তাকে অস্ট্রেলিয়ায় ফিরিয়ে আনতে আদালতে ৭০টিরও বেশি শুনানি হয়েছে। অবশেষে ২০২১ সালে তাকে একটি বিশেষ ফ্লাইটে অস্ট্রেলিয়ায় ফেরত আনা হয়। 

প্রত্যর্পণের আগে লিফারের দাবি ছিল, পঙ্গুত্ব এবং বিষণ্ণতা তাকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে এবং আদালতে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার মানসিক শক্তি তার নেই। তার এই দাবি প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়ায় অচলাবস্থা তৈরি করে। 

পরে এক তদন্তকারী গোপনে লিফারকে দৈনন্দিন স্বাভাবিক কাজকর্মের ভিডিও প্রকাশ করলে প্রমাণ হয় লিফারের দাবি মিথ্যা। 

মালকা লিফারের আইনজীবী ইয়ান হিল এর আগে জানিয়েছিলেন, লিফার তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ আদালতে অস্বীকার করেছেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তার মেলামেশা পেশাদার ও যথাযথ ছিল বলেও তিনি দাবি করেছেন । 

 


0 মন্তব্য

Do you like cookies? 🍪 We use cookies to ensure you get the best experience on our website. Learn more...