
ভারতে পাল্টা হামলা চালাল পাকিস্তান

টিবিএন ডেস্ক
মে ৬ ২০২৫, ২১:৩০

পাকিস্তানের শাহিন-২ ক্ষেপণাস্ত্র। ছবি: রয়টার্স
- 0
জিও নিউজের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভারতের ক্ষেপণাস্ত্রে পাঞ্জাব ও আজাদ কাশ্মীর আক্রান্ত হওয়ার পর পাল্টা হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান।
ভারতশাসিত জম্মু-কাশ্মীরে গত ২২ এপ্রিল প্রাণঘাতী হামলার জেরে পাকিস্তানের কয়েকটি অবস্থানে আক্রমণ চালিয়েছে ভারত।
এর জবাবে ভারতে হামলা চালানোর কথা জানিয়েছে পাকিস্তান।
জিও নিউজের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভারতের ক্ষেপণাস্ত্রে পাঞ্জাব ও আজাদ কাশ্মীর আক্রান্ত হওয়ার পর পাল্টা হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান।
পাকিস্তান আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক (ডিজি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ বলেন, হামলার ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে পর্যালোচনা চলছে। যথাসময়ে পরবর্তী বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে।
এর আগে এ সেনা কর্মকর্তা জানান, ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে পাকিস্তানের বাহওয়ালপুর, মুজাফফরাবাদ ও কোটলিতে হামলা চালিয়েছে ভারত।
এ হামলার নিন্দা জানিয়ে পাকিস্তান আইএসপিআর ডিজি বলেন, ‘আমাদের বিমান বাহিনীর সব বিমান আকাশে। এটা লজ্জাকর ও কাপুরুষোচিত হামলা, যা ভারতের আকাশসীমা থেকে চালানো হয়েছে।
‘তাদের পাকিস্তানের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে দিন, পাকিস্তান তার সুবিধামতো সময় ও স্থানে এর (হামলা) জবাব দেবে। এ উসকানির জবাব দেওয়া হবে।’
পেহেলগামে হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে পাকিস্তানে হামলা চালায় ভারত।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বুধবার এ তথ্য জানায় টাইমস অব ইন্ডিয়া।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়, “কিছুক্ষণ আগে ভারতের সামরিক বাহিনী ‘অপারেশন সিন্দুর’ শুরু করেছে, যার মাধ্যমে পাকিস্তান ও পাকিস্তানের ‘দখলকৃত’ জম্মু-কাশ্মীরের সন্ত্রাসী অবকাঠামোতে (যেখান থেকে ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা ও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল) আঘাত হানা হয়েছে।”
গত ২২ এপ্রিল পেহেলগামে হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ব্যাপক মাত্রায় বেড়ে যায়।
ওই হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে অভিযোগ করে ভারত, তবে পাকিস্তান এ অভিযোগ অস্বীকার করে ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানায়।
কাশ্মীর নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে ভারতের সম্ভাব্য হামলা ও এ সংক্রান্ত প্রস্তুতির কথা জানিয়েছিলেন পাকিস্তানের রাজনীতিকরা।
ভারতীয় হামলার আশঙ্কা করছিলেন সীমান্তবর্তী পাকিস্তানশাসিত আজাদ কাশ্মীরের বাসিন্দারা। আজাদ কাশ্মীরে কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধও করে দেওয়া হয়েছিল।