দীর্ঘতম তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত ভারত, নিহত ৮

টিবিএন ডেস্ক

জুন ১১ ২০২৪, ১১:৪৪

তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত ভারতের জনজীবন। ছবি: সংগৃহীত

তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত ভারতের জনজীবন। ছবি: সংগৃহীত

  • 0

ভয়াবহ তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত ভারতের জনজীবন। তাপপ্রবাহের কারণে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ওডিশায় সোমবার ৭২ ঘণ্টার ব্যবধানে আটজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

বিবিসি নিউজ জানিয়েছে, গত মে মাসে প্রকাশিত সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশটিতে মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে তাপজনিত অসুস্থতায় ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

তবে গ্রামাঞ্চলে তাপজনিত মৃত্যুর সঠিক তথ্য না থাকায় মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কর্মকর্তারা বলছেন ভারত রেকর্ড দীর্ঘতম তাপপ্রবাহের মধ্যে রয়েছে। ইতোমধ্যে কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে।

ইন্ডিয়ান মেটিওরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্টের (আইএমডি) মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকাকে বলেছেন, ‘প্রায় ২৪ দিন ধরে দেশের বিভিন্ন অংশে তাপপ্রবাহ অনুভব করা হয়েছে যা ইতিহাসের দীর্ঘতম তাপপ্রবাহ।’

মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে উত্তর ভারতের কিছু অংশ তীব্র তাপের সম্মুখীন হচ্ছে। বেশ কয়েকটি শহরে তাপমাত্রা ৪৫-৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে।

প্রচন্ড তাপের পাশাপাশি ভারতের কিছু অঞ্চল পানির ঘাটতি চরম আকার ধারণ করেছে। চরম তাপ পানি সরবরাহের ওপর ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি করছে।

তাপজনিত অসুস্থতায় চলতি মাসের শুরুর দিকে উত্তর প্রদেশ ও বিহার রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনে দায়িত্বরত ১৮ জন নির্বাচনী কর্মকর্তা মারা যান।

এছাড়া গত ৩১ মে বিহার, উত্তর প্রদেশ ও ওডিশায় হিটস্ট্রোকে নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ কমপক্ষে ৩৩ জনের মৃত্যু হয়।

তবে ভারতের দক্ষিণ উপকূলের কেরালা রাজ্যে ৩০ মে থেকে শুরু হওয়া বর্ষা মৌসুম আগামী দিনগুলোতে দেশের উত্তরাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ায় কিছুটা স্বস্তি নিয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আইএমডি এই বছরবর্ষা মৌসুমে স্বাভাবিকের চেয়ে গড়ে বেশি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে।

তবে মহাপাত্র বলেন, ‘সতর্কতা বা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নিলে তাপপ্রবাহ আরও ঘন ঘন, ও তীব্র রূপ ধারণ করবে।’

আগামী পাঁচ দিন উত্তর-পশ্চিম ও পূর্ব ভারতে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনকারী দেশ। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কয়লার ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভর করে থাকে দেশটি।

মহাপাত্র বলেন, ‘মানুষের কর্মকাণ্ড, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, শিল্পায়ন ও পরিবহন ব্যবস্থার ফলে পরিবেশে কার্বন মনোক্সাইড, মিথেন ও ক্লোরোকার্বনের ঘনত্ব বাড়ছে।

ফলে আমরা শুধু নিজেদেরই নয়, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও বিপদে ফেলছি।’


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন




Do you like cookies? 🍪 We use cookies to ensure you get the best experience on our website. Learn more...