৭৩ বছর পরে নিজ স্টেইটে সমাহিত কোরিয়া যুদ্ধে নিহত সেনা

টিবিএন ডেস্ক

মে ৩০ ২০২৩, ৪:১৪

'মেডেল অফ অনার' পদক পাওয়া কর্পোরাল লুথার হার্শেল স্টোরি। ছবি: সংগৃহীত

'মেডেল অফ অনার' পদক পাওয়া কর্পোরাল লুথার হার্শেল স্টোরি। ছবি: সংগৃহীত

  • 0

নিহত হবার সাত দশকেরও বেশি সময় পর নিজ স্টেইট জর্জিয়ায় সমাহিত হয়েছে লুথার হার্শেল স্টোরির দেহাবশেষ। কোরিয়া যুদ্ধের সময় ১৯৫০ সালের ১ সেপ্টেম্বর নিহত হন স্টোরি।

মেমোরিয়াল ডের দিন অ্যান্ডারসনভিল ন্যাশনাল সিমেট্রিতে সামরিক সম্মানের সঙ্গে স্টোরির দেহাবশেষ সমাহিত করা হয়। গত ২৬ এপ্রিল ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে স্টোরির দেহাবশেষ চিহ্নিত করা হয়।

১৯৩২ সালে জর্জিয়ায় জন্ম নেয়া স্টোরি ১৬ বছর বয়সে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে অ্যামেরিকার নাইন্থ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের হয়ে লড়াই করার সময় বর্তমান দক্ষিণ কোরিয়ার ন্যাকডং নদীর পাশে অ্যাগক গ্রামের কাছে নিহত হন স্টোরি।

তার রেজিমেন্টকে উত্তর কোরিয়ার সেনারা ঘিরে ফেললে সতীর্থদের রক্ষার জন্য পিছু না হটে পজিশন ধরে রেখে যুদ্ধ চালিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তার এই বীরত্বের জন্য স্টোরিকে অ্যামেরিকার সর্বোচ্চ সামরিক পুরস্কার ‘মেডেল অফ অনার’ দিয়ে সম্মানিত করা হয়।

পেন্টাগনে এক অনুষ্ঠানে ১৯৫১ সালে স্টোরির বাবা ‘মেডেল অফ অনার’ গ্রহন করেন। স্টোরিকে ওই অনুষ্ঠানে মরনোত্তর কর্পোরাল র‌্যাংক দেয়া হয়। 

স্টোরি কোরিয়ায় নিখোঁজ হওয়ার মাসখানেক পর অ্যাগক অঞ্চলে অ্যামেরিকার মিলিটারি এক সেনার মৃতদেহ উদ্ধার করে। বাকি অজ্ঞাত সেনাদের সঙ্গে সেটিকে হাওয়াইয়ে ‘ন্যাশনাল মেমোরিয়াল সিমেট্রি’তে দাফন করা হয়।

স্টোরির ভাতিজি জুডি ওয়েড ২০১৭ সালে স্টোরির মায়ের ও নিজের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য মিলিটারির কাছে জমা দেন।

২০২১ সালে অ্যাগকের কাছে পাওয়া অজ্ঞাত ওই সেনার দেহাবশেষ খুঁড়ে বের করা হয় ডিএনএ পরীক্ষার জন্য। স্টোরির মায়ের ও জুডির ডিএনএর সঙ্গে সফলভাবে মিলে যায় ওই সেনার ডিএনএ। 

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২৬ এপ্রিল দক্ষিণ কোরিয়ান প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের সঙ্গে যৌথভাবে এ খবর প্রকাশ করেন। বাইডেন স্টোরির প্রসঙ্গে বলেন, ‘আজ আমরা তাকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে পেরেছি। তার শান্তি কামনা করছি।‘


0 মন্তব্য

Do you like cookies? 🍪 We use cookies to ensure you get the best experience on our website. Learn more...